১ম অধ্যায় ] প্রাগজ্যোতিষ রাজা। l. \ט —কে জানে ? সেই সময়ে শ্ৰীহট্টের পর্বত ও পৰ্ব্বতকল্প উচ্চ স্থল গুলি জনশূন্য ও কেবল মাত্র ব্যাঘ্র ভল্লুকাদির বিস্তৃত বিচরণ ক্ষেত্র মাত্র ছিল, তাহা নহে । তখন অনাৰ্য্য বংশীয়েরাই দেশের অধিকারী ছিল, অনাৰ্য্যরাই প্রধান ছিল । বৰ্ত্তমান কুকি খাসিয়া প্রভৃতি জাতি অপরিবর্হিতাবস্থায় তাহদেরই বংশধর ; এবং বহু সহস্র বর্ষের ঘাত প্রতিঘাতে রূপান্তরিত ও পরিবর্তিত আকারে তাহদেরেই শোণিত কণা যে হাড়ি, ডোম, মহিমাল প্রভৃতি জাতির দেহে সংমিশ্রিত আছে, তাহা বলা অযৌক্তিক নহে। কিন্তু সে অনাৰ্য্যযুগ বহুপূৰ্ব্বে অতীত গর্ভে বিলীন হুইয়াছে। \ আৰ্য্যযুগ হিসাবেও খ্ৰীহট্ট, অতি প্রাচীন দেশ। যখন বঙ্গভূমির অধিকাংশ স্থান ব্যাঘ্র ভল্লুকের বিচরণ ক্ষেত্র মাত্র ছিল, যখন বঙ্গদেশ অনার্য জাতির বাস ভূমি রূপে পরিগণিত ছিল, তখনও শ্রীহট্টে আৰ্য নিবাসের প্রমাণ একবারে অপ্রাপ্য হয় না। এ অতি সাহসের কথা যে যখন বঙ্গদেশ অনাৰ্য ভূমি, তখন প্রান্তবর্তী সুদূর শ্ৰীহট্ট আর্য্যবাসভূমি রূপে পরিণত হইয়াছিল। প্রাচীন পৌরাণিক কালের গ্রন্থপত্রে শ্ৰীহট্টে, আর্য্যবাসের পরিচয় যদিও স্পষ্ট বঙ্গদেশের রূপে নাই, তথাপি আনুসঙ্গিক প্রমাণে শ্রীহট্টের প্রাচীনত্ব প্রতিপর পাদিত হইতে পারে। ভূতত্ত্ববিং পণ্ডিতগণের মতে ইওসিন" । যুগে হিমালয়ের ও তলদেশ জলতলে ছিল, কিন্তু সে কতযুগের কথা ; তখন মনুষ্যস্বাক্টর চিহ্ন পাওয়া যায় না! ইহার পরে মিওসিন্স্তরেই মনুষ্য চিহ্ন লক্ষিত হয়, তখনও সাগরবারি দেশের অধিকাংশ আবৃত করিয়া রাখিয়ছিল। এ সকল পণ্ডিতদের কথা আলোচনায় আমাদের প্রয়োজন নাই, যখন রামায়ণ রচিত হয়, তখন বঙ্গভূমে আর্য্যনিবাস স্থাপিত হয় নাই, সম্ভবতঃ তখন ইহার অধিকাংশ স্থল সমুদ্রগৰ্ত্তেখিত জল ও জঙ্গল ভূমি ছিল। হিমালয়ের পাদদেশে সামুদ্রিক জীবকঙ্কাল দৃষ্ট ভূতত্ত্ববিংগণ বলেনযে, পুরাকালে বঙ্গদেশের অস্তিত্ব ছিলন, তখন সাগরোৰ্ম্মি হিমালয়ের পদতটে প্ৰহত হইত। পৰ্ব্বতধৌত মৃত্তিক ও