পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম অধ্যায় ] ভাটেরার জাম্রশাসন । R} (১৬) দ্বিতীয় প্রশস্তি লিখিত ভূদান কালে কেশব দেবের এই মধ্যম পুরও জীবিত ছিলেন না, তিনি বিধবা পত্নী ও শিশু পুত্র রাখিয়া পরলোকবাণী হুইয়াছিলেন। • (১৭) ষ্টহীর মৃত্যুর পরই (কেশব দেবের তৃতীয় পুত্র) সৰ্ব্বকনিষ্ঠ ঈশান দেব রাজকাৰ্য্য চালাইতেছিলেন । (১৮) এই সময় পিতৃহীন বালকই রাজ্যের প্রকৃত অধিকারী ছিলেন বোধ করা অসঙ্গত নছে ; এই জন্যই বিধবা মহিষী “কুলপালিকা’ শবো বিশেষিত হইয়াছেন ; এবং এই জন্যই দুই হাল মাত্র ভূমি দান করিতেও ঈশান দেবকে, স্থবির ভ্রাতা, বিধবা মহিষী ও বালকের অভিমত গ্রহণ পূৰ্ব্বক সেনাপতির অনুমোদনে কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে হইয়াছিল। (১৯) প্রশস্তিদ্বয়ে লিখিত ভূমি ভাটেরার চতুস্পার্শ্ববৰ্ত্তী ভূমি হওয়াই সম্ভব। প্রথম প্ৰশস্তিতে প্রায় শতাবধি গ্রাম ও নদী ইত্যাদির নাম পাওয়া যায়। কিন্তু সেই প্রাচীন নাম গুলির মধ্যে একটি নামের সহিত ও ( ঐ অঞ্চলের গ্রামাদির ) বৰ্ত্তমান নামের মিল নাই . অনেকে অনুমান করেন যে ইটপাঠক ভাটেরারই প্রাচীন নাম। দক্ষিণ শ্ৰীহট্টের মহরাপুৰ্বই (মৌরাপুর) বোধ হয় প্রশস্তি লিখিত মহবাপুর। নবপঞ্চাল বৰ্ত্তমান বরমচাল বলিয়া অহমিত। ভাস্কর টেঙ্করী বৰ্ত্তমান টেঙ্গল গ্রামের প্রাচীন নাম কি না বিবেচ্য বটে। প্রশস্তিতে ‘গুড়াবী বলিয়া যে একটি নাম পাওয়া যায়, তাহ বৰ্ত্তমান ‘গুড়াভই হইবে বোধ হয়। এই কয়েকটি নাম ব্যতীত অপর নামগুলি আমূল পরিবর্তিত হইয়া যাওয়ায় পরিচয় করা একবারে অসম্ভব। কানিয়ানী নদী, নাগাই নদী প্রভৃতির নামও এখন বিলুপ্ত। স্থানে স্থানে উল্লেখিত ‘গোপথ, শব্দের পরিবর্তে শ্রীহট্টে এখন ‘গোবাট' শকা প্রচলিত। * ‘ভাটপড়া' গ্রামের উল্লেখ একাধিক বার আছে, সম্ভবতঃ এই গ্রামটি বৃহত্তর ছিল ; ইহাই ভাটেরার পূর্ব নাম কি না, কে _ _ _ங்_க

  • গে। বক্স শব্দ হইতে গোবাট শব্দের উৎপত্তি ; “গোবাট” শব্দও একস্থানে

अ|%ङ् ।