পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९१ স্ত্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - [ २झुं ङां: s* शृं: জানে ?* আবার ‘গাম’ এই গ্রাম শব্দেরও ভূরি ব্যবহার পাওয়া যায়। জয়ন্তীয় পরগণায় গাম শব্দের অধিক প্রচলন । _ অনন্তর একস্থানে “সাগর পশ্চিমে” এইরূপ সীমা নির্দেশ আছে। ডাঃ রাজেন্দ্র লাল মিত্র, সাগর ইংরাজি sea (সমুদ্র ) শব্দে অনুবাদিত করিয়াছেন। শ্ৰীহট্টের অনেকাংশ তখন সাগর গৰ্ত্তে নিহিত ছিল, ইহাই তাছার প্রমাণ। এবং কেশব ও ঈশান দেবের সমরতরি ব্যবহারের কথায় তাহ বিশেষরূপে প্রমাণিত হয়। হাইলহাওর, ঘুঙ্গিয়াজুরী, কাগপাশা প্রভৃতি উক্ত সাগরেরই শেষ নিদর্শন। নদী প্রবাহে নীত পলিতে হাত্তরগুলি ক্রমশঃ তরিয়া যাইতেছে, অদ্যাপি এই ভরট ক্রিয় সমভাবে চলিতেছে। ‘সাগর’ শব্দ হইতেই ‘সায়র’ এবং শ্রীহট্টে তাহ হইতে ‘হায়র’ বা ‘হাওর’ শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে । ( কেহ কেহ বলেন যে, হ্রদ শব্দ হইতেই হাওর হইয়াছে । ) (২০) শেষ কথা—কাল নিরূপণ । প্রথম প্রশস্তিতে ২৩২৮ যুধিষ্টিরাব্দ এবং দ্বিতীয় প্রশস্তিতে ১৭ সম্বং অঙ্কিত আছে। পণ্ডিত রমাবাইয়ের ভ্রাতা মহারাষ্ট্রীয় শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী প্রথম প্রশস্তি ২৯২৮ খুধিষ্ঠিরাব্দের বলিয়া পাঠোদ্ধার করেন। প্রখ্যাত নামা পণ্ডিত রাজেন্দ্র লাল মিত্র ভিন্নরূপ পাঠ কল্পনা করেন। বস্তুতঃ কাল নির্ণায়ক অঙ্কগুলি অস্পষ্ট ও অপাঠ্য । কালনির্ণয় বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে না পারিয়া তিনি গুরুতর ভ্রমে নিপতিত হইয়াছেন । * * অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ মহাশয় লিখিয়াছেন -একটা কথা বিবেচ্য। শিবের নাম বটেশ্বর, অধচ তাহাকে ‘শ্ৰীহট্ট নাথায় বলা হইয়াছে। তাহর স্থান ‘হট্টপাটকে নিরূপিত ছিল। এখন শিবের নাম বটেশ্বর এবং এই শিব হইতেই ‘বটেশ্বরেরহাট নাম হইয়া বটেশ্বরের অপভ্রংশ হইয় ভাটেরার বাজার হইয়াছে । বটেশ্বরের অপভ্রংশে ‘বটেইর (যথা শ্রীহট্টের গ্রামান্তর শালেশ্বর স্থানে হালেহর), তৎপর হকারের জোর রয়ের উপর পড়িয়া ভাটেরা হইয়া থাকিবে। তারপর হট্টপাটকে অর্থ হাটের একদেশে অর্থাৎ এক প্রাস্তে শিবের স্থান ছিল ; এই জন্য ঐ-হটুনাখায় অর্থাং ঐযুক্ত হট্টের অধিপতি (শ্ৰীহট্ৰপতি নহে) এই শেষ প্রয়োগ मृठे झग्न ।” . . ." - l + প্রদীপ পত্রিকা—১৩১১ বাংলা কীৰ্ত্তিক, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত পদ্মনাথ বিদ্যা বিনোদ মহাশয়ের লিখিত্ত ‘‘ফকির শাহজালাল” প্রবন্ধ স্রষ্টব্য ।