পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bौक ] দ্বিতীয় অধ্যায়ের টীকা । ૨.G. দ্বিতীয় অধ্যায়ের টাকা । নবাবিষ্কৃত না হইলেও ভাটেরার তাম্রফলকদ্বয়ের বিষয় সমালোচ্য বটে। শ্ৰীহট্ট জিলার অন্তর্গত ভাটের নামক স্থানের একটি টালা “হোমের টালা” বলিয়া কথিত হয়। পরম্পরাগত ঐ নাম চলিয়া আসিতেছে। টলটি কেন যে ঐ নামে কথিত হয়, তাহ কেহ জানে না । ১২৭৯ বাংলায় তত্ৰত্য জমিদার জগচ্চন্দ্র দেব চৌধুরির অনুমতি মতে কোন কাৰ্য্যবশতঃ শেখ কটাই নামক এক ব্যক্তি ঐ স্থান খনন করায় এক ইষ্টকমন্দিরের ভিত্তি ও আট ফিট মাটির নীচে দুখান তাম্ৰপত্র প্রাপ্ত হওয়া যায়। শ্ৰীহট্টের তদানীন্তন ডিপুটী কমিশনার মিঃ লটমন জনসন সাহেব প্রথমেই ইহা পণ্ডিত শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রীকে প্রদর্শন করেন ; ( এই মহারাষ্ট্র পণ্ডিত তৎকালে শ্রীহট্টে উপস্থিত ছিলেন ) , তিনিই ইহার প্রথম পাঠোদ্ধার করতঃ এতৎসম্বন্ধে এক প্রস্তাব লিখেন। o উভয় প্রশস্তিই উপরে ছিদ্র বিশিষ্ট সমচতুষ্কোণ তাম্রফলকে খোদিত। তন্মধ্যে কেশব দেবের প্রশস্তি ১২২ ×১১ ইঞ্চ ও ঈশান দেবের প্রশস্তি ৮×৬ ইঞ্চ আকার বিশিষ্ট এবং যথাক্রমে উভয় তাম্রপত্রে ২৭ + ২৮ ছত্র এবং ১৬ + ১৬ ছত্র অক্ষর অঙ্কিত আছে। প্রশস্তিদ্বয়ের অক্ষর দেবনাগর। . প্রথম প্রশস্তির মূল । (ছত্র সংখ্যা—সম্মুখভাগ । ) ১ ওঁ শিবায়। য: কৰ্ত্তাভুবনত্ৰয়স্ত তমুভিৰ্বিশ্বং পৃথিব্যাদিভিৰ্যস্যেদং খ্রিয়তে য ঈশ্বর ইতি খ্যাতো— . ২ ভবন্নাপরঃ । য: সংজ্ঞাত্রয়মেক এব ভজতি ত্ৰৈগুণ্য ভেদাশিতে ব্রহ্মোপেন্দ্ৰ মহেশ্বরেতি জগতামীশায় ও তস্মৈ নমঃ ॥ ত্রিপুরহরশিরঃ কিীটরত্নং স্মরযুবতেরভিষেক রৌপ্যকুম্ভ: কুসুম বিশিখবাণ শাণ চক্ৰং ৪ জয়তি নিশাতিলকস্তুষার রোচি ৷ বংশেস্ত ভূমি পতয়ঃ কতিতে নিম্পার পৌরূষা জাতা: ৷ যেষাং যশঃ– * .