পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ] দ্বিতীয় অধ্যায়ের টীকা । \רס শাসনের পরে, ঈশানদেব বৃদ্ধাবস্থায় বিষ্ণুমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, তথাপি এ দীর্ঘতর কালের স্বসঙ্গতি হয় না। কিন্তু বরাহমিহিরের মতে বিচার করিলে আর অসঙ্গতি থাকে না। বারাহীমতে পিতা পুত্রে ঈদৃশ ব্যবধান লক্ষিত হয় না, তন্মতে ৭৮০ কলিগতাকে যুধিষ্ঠিরের কাল ; তদনুসারে উভয় প্রশস্তির ব্যবধান ৮০ বৎসর মাত্র হয় । ( কঃ গঃ—৫১৩৫—৭৮০ = ৪৪৫৫—২৩২৮ = ২৪২৭ —১৯৪৭ —৮০ বর্ষ। ) পিতাপুত্রের সময় মধ্যে এই ৮০ ব্যবধান নানাকারণে অসঙ্গত না হইতে পারে। প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰ নাথ বস্থ মহাশয় একখানি পত্রে লিথিয়াছেন যে, প্রশস্তিদ্বয়ের অক্ষর খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর অক্ষরের অনুরূপ। প্রশস্তিদ্বয় নাগরাক্ষরে অতি হইলেও কোন কোন অক্ষর যে বাক্ষরের আদিরূপ, তাহ প্রতীয়মান হয়। কিন্তু বঙ্গাক্ষরও নিতান্ত আধুনিক বলিতে আমাদের প্রবৃত্তি হয় না। ললিত-বিস্তারগ্রন্থে লিখিত আছে, বুদ্ধদেব অধ্যাপক বিশ্বামিত্রের নিকট বঙ্গলিপি, অঙ্গলিপি, ব্রাহ্মী, সৌরাষ্ট্র ও মাগধলিপি শিক্ষা করিয়াছিলেন। বুদ্ধদেব খৃষ্টের ৫৫৭ বর্ষ পূৰ্ব্বে আবিভূত হন । খৃষ্ট-পূৰ্ব্ব সময়ের অক্ষর যে প্রশস্তির অক্ষরের ন্যায় হইতে পারে না, তাহার স্বদূঢ় প্রমাণ পাওয়ার প্রয়োজন । তর্কস্থলে দশম শতাব্দী মানিয়া লইলেও ইহা সহস্র বর্ষের পূৰ্ব্বকার বলিতে হইবে। তাহা হইলে ঈশানদেবের বৃদ্ধ প্রপিতামহ নবগীর্বানের রাজত্বকাল খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী বলিয়া ধরিয়া লইতে হয়। প্রায় এই সময়েই শ্ৰীহট্ট প্রদেশের অপরাংশে “ফা” উপাধি বিশিষ্ট এক রাজবংশ ছিলেন; এবং তাহ হইলে এই সময় শ্ৰীহট্ট বিভিন্ন খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত ছিল বলিতে হইবে। যাহাহউক, প্রশস্তি লিখিত অধুনালিপ্ত নাম গুলির প্রতি দৃষ্টি করিলে এবং রাজগণের ব্যবহৃত যুদ্ধ-রথাদির বিষয় বিবেচনা করিলে তাহাদিগকে অতি প্রাচীন নরপতি না বলিয়া উপায় নাই। বলা হইয়াছে, কেশবদেব একটি স্বধৃঢ় প্রস্তরময় বিষ্ণুমন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন ; তাহার চিহ্ন কোথায় ? শ্ৰীহট্টনাথের প্রস্তর মন্দিরের ভগ্নাবশেষ কোথায় ? কেশবদেবের সময় ১২৪৫ शृंडेक श्रेल ঐ সকল মন্দিরের চিহ্নমাত্র না থাকার সম্ভাবনা ছিল না। শাহজলালের সময়ের