পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6y শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ ২ভা: ১ম খ: অতএব নিসংশয়িত রূপে বলা যাইতে পারে যে, অতি প্রাচীন কাল হইতে শ্ৰীহট্ট আর্য্য জাতির শাসনে ছিল। প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষ পূৰ্ব্বদেশে যখন আর্য্যপ্রতিভাজ্যোতিঃ বিস্তার করিয়াছিল, তৎসঙ্গে শ্ৰীহট্টও সেই প্রজ্জ্বলংপ্রভায় প্রকাশিত হইয়াছিল। শ্ৰীহট্ট বহু শতাব্দী কামরূপের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত শ্ৰীহট্ট ষে কামরূপ রাজ্যের অঙ্গ ছিল, তাহা বিদেশীয় ভ্রমণকারীর বর্ণনায় জ্ঞাত হওয়া যায়। শ্ৰীহট্ট বহুদিন কামরূপের অন্তর্গত ছিল বলিয়া অগৌরব কিছু নাই, যে কামরূপ যোগিনীতন্ত্রে বারানসীর ন্যায় মাহাত্ম্যময় বলিয়া উল্লেখিত, তদধীনে থাকা অগৌরবকর নহে; ইহাতে ‘চিরপরাধীন বলিয়া শ্ৰীহট্টের প্রতি বিদ্রুপ করা যাইতে পারে না। নিজ পত্নী, নগর, বা জিলার লোক নহিলেই যদি পরাধীনতা হয়, তবে বহুতর দেশের ভাগ্যই শ্ৰীহট্টের ন্যায়। বস্তুতঃ তাহা অগৌরবস্থচক নহে, কামরূপের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অতি প্রাচীনকাল হইতেই শ্ৰীহট্ট আৰ্যসভ্যতার ফল ভোগ করিতে পারিয়াছে বলিয়া বরং বিশেষ গৌরবাস্পদ ।