পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8र्थ अ५riप्न ] ত্রিপুর বংশীয় রাজগণ । 8 సె পর্যায়ে * শুক্ররায়ের পুত্র প্রতীত রাজা হন। ইহার রাজত্ব সময়ে বরবক্র নদী কাছাড় ও ত্রৈপুর রাজবংশীয়ের রাজ্যের মধ্যসীমা ছিল। + এই সময় হইতেই ত্রৈপুর রাজগণের বিবরণ শ্ৰীহট্ট ইতিহাসের অন্তভূক্ত হওয়া সঙ্গত। প্রতীতের পুত্র মিরিছিম, তৎপুত্ৰ গগণ, তাহার পুত্র নওরায়, বা নবরায় তৎপুত্র জুজারু ফা ( যুদ্ধজয়রাজ বা হিমতিছ), ইনি রাঙ্গামাট জয় করত: তথায় এক নূতন রাজবাটী স্থাপন করিয়াছিলেন। তিনি নবদেশ বিজয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে আদিপুরুষের নামানুক্রমে ত্রিপুরাব্দের প্রচলন করেন। সম্ভবতঃ এই সময় হইতে তদীয় নবজিত রাজ্য ত্রিপুরা অভিধা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু রাঙ্গামাটাতে নূতন রাজবাট নিৰ্ম্মিত হইলেও পূর্বরাজধানী পরিত্যক্ত হওয়ার প্রমাণ নাই। ইহার কি তাহার পুত্রের সময়ে সেই রাজধানী কৈলাসহরে নীত হইয়াছিল। কৈলাসহরের প্রাচীন নাম কৈলাড়গড় ; মোসলমান ঐতিহাসিকগণ ইহাকে জাজিনগর নামে আখ্যাত করিয়াছেন । ত্রৈপুর রাজগণের রাজধানী শ্ৰীহট্টের সমতল ক্ষেত্রেও একস্থানে ছিল না, ঐ রাজপাট ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পরিবর্তিত হইয়াছিল। ৫ ত্রিপুরার ইতিহাসপ্রণেতা বিশিষ্ট প্রমাণ সহকারে লিথিয়াছেন —“শ্ৰীহট্ট জিলার

  • ক – পরিশিষ্ট দেখ ।

+ঐযুত কৈলাস চন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুরার ইতিহাস ২য় ভা: ২য় অঃ ২৩ পৃষ্ঠা । ¢ প্রতাপগড় পরগণার বহুদূর দক্ষিণে গবর্ণমেণ্ট-রক্ষিত জঙ্গলের প্রাস্তে “নাগরাছড়া" নামক ক্ষুদ্র স্রোতস্বতীতীরে নরবসতি ও অট্টালিকার সামান্য চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এক সময় ঐ স্থানে ত্রিপুর বংশীয়গণের রাজধানী ছিল বলিয়া বিবেচনা করা অসঙ্গত হয় না । ইহার একটা প্রাসঙ্গিক প্রমাণও আছে । করিমগঞ্জের নিকটবৰ্ত্তী চাপঘাট পরগণা পৰ্য্যস্ত ঐ রাজ্যের অধিকার ভুক্ত ছিল , সেই স্থানে সীমান্ত রক্ষকরূপে এক রাজা থাকিতেন, পরবত্তী (২য় খ: ) নবম অধ্যায়ে প্রসঙ্গাধীন তাহার বিষয় উল্লেখিত হইবে। ঐ প্রদেশে অতি প্রাচীন “ পীঠাখাউরীর জাঙ্গাল ” নামে এক সড়কের ভগ্নাবশেষ চিহ্ন লক্ষিত হয়, উহার দৈর্ঘ্য উত্তরে দক্ষিণে বহুক্রোশ ব্যাপী। দক্ষিণ দিকে যথাক্রমে ডোঁয়াদি, জাফরগড়, প্রভাপগড় এই তিনটি বিস্তৃত পরগণা ভেদ করিয়া ঐ জাঙ্গাল জঙ্গলে প্রবেশ করিয়াছে। কত শতাব্দী চলিয়া গিয়াছে, তথাপি