(t ર শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ ২য় ভা: ১ম খ: বৈদিক সংবাদিনী নামক কুলগ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, মহারাজ আদিধৰ্ম্মপ * স্বীয় মন্ত্রী হইতে জ্ঞাত হইলেন যে মিথিলা দেশ হইতে যজ্ঞাদি বিশারদ বিগ্র প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পরিবে। মিথিলা প্রাচীনকালাবধি প্রসিদ্ধ ; এই স্থানেই গৌতমের ন্যায়শাস্ত্রের প্রকাশ, এই স্থানেই রাজর্ষি জনকের নিৰ্ব্বিকল্প
- ত্রিপুরার ইতিহাস লেখক শ্ৰীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহ স্বীয় পুস্তকে ত্রিপুরার রাজংশাবলী মুদ্রিত করিয়াছেন। বিখ্যাত বিশ্বকোষাভিধানে দ্বিতীয় এক বংশপত্রিক প্রকাশিত হইয়াছে। তদ্ব্যতীত ত্রিপুরাধিপতি স্বৰ্গীয় মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুরের সাহায্যে বহরমপুরের পণ্ডিত v রামনারায়ণ বিদ্যারত্ব বহুটকা সমম্বিত যে শ্ৰীমদ্ভাগৰত বিতরণ করেন, তাহার ভূমিকায় এক রাজ-বংশ-তালিকা প্রকাশিত হইয়াছে। কিন্তু কোন বংশপত্রেই আদিধর্মপা বলিয়া কোন রাজারনাম দৃষ্ট হয় না। ধৰ্ম্মপাল বলিয়৷ একজন রাজার নাম পাওয়া যায় বটে, কিন্তু তিনি অতি প্রাচীনতম, (সংস্কৃত রাজমালা মতে তিনি যুধিষ্টরের সমসাময়িক ),—ত্রিপুর হইতে সপ্তম স্থানীয়। সুতরাং প্রাগুক্ত সময়ের বহু পূৰ্ব্ববর্তী। বর্তমান মহারাজের ৩৯ পুরুষ পূৰ্ব্বে ভুজ বৃক্ষ নামে এক ক্ষমতশালী ব্যক্তি রাজা হন, বিশ্বকোষে ইহার নাম দানকুরুফ লিখিত হইয়াছে। বিদ্যারত্ব মহাশয় ত্রৈপুর “ভুজুর” শব্দে 'হরি' অর্থ করিয়া, ইহাকে হরিরায় (কোথাও বা শিবরায় ) বলিয়াছেন। পশ্চাদ্ভূক্ত দানপত্রে এই ভুঙ্গর শব্দই ব্রাহ্মণগণ কর্তৃক আৰ্যভাষায় ধৰ্ম্ম এবং ‘ফী’ ‘পাতে পরিণত হইয়াছে। 盛
তিনি এ অঞ্চলে প্রথমেই ধৰ্ম্মপালকরুপে আবিভূতি বলিয়া আদিধর্মপা নামে কথিত হইয়াছেন, বিচিত্র নহে ; কারণ জয়ন্ত নৃপতিও তদ্বৎ আদিশূর নামে কীৰ্ত্তিত। উভয়েই পঞ্চব্রাহ্মণ আনয়ন করেন, উভয়েই যজ্ঞকৰ্ত্তা, এবং উভয়েরই নাম ‘আদি’ শব্দ-পূৰ্ব্ব ! আশ্চৰ্য্য বটে। কিন্তু উভয়ের মধ্যে একজন প্রসিদ্ধ নাম, আর অপর অপরিচিত ; ইহাও অদ্ভূত। যাহোক, কেবল আদিধর্মপার নাম সম্বন্ধেই ষে এইরূপ ঘটিয়াছে, তাহা নহে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক ত্রৈপুর নাম স্বাধীন ভাবে বিভিন্নরূপ ৰঙ্গামুবাদিত হইয়াছে। ক—পরিশিষ্ট্রের বংশপত্রিকায় তাহা দ্রষ্টব্য।