পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&भ श्रषTांझ । ] শ্ৰীহট্টে সাম্প্রদায়িকগণ । &న معالجصيد تعيين بيع طصصد কাতল ও কাকচান্দ নামে দুই ভাই ছিল। কাতলের প্রচুর নগদ টাকা ও কাকচান্দের গোলাভরা ধান্ত ছিল। এক সময় উভয় ভ্রাতা কোনও কার্য্যোপলক্ষে বিদেশে গিয়াছিলেন। তখন দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়। ধান নাই—নগদ টাকা হাতে থাকা সত্বেও কাতলের স্ত্রীকে উপবাসী থাকিতে হয় । কাতলের স্ত্রী নিরুপায় হইয়া অন্নক্লেশ নিবারণার্থ কাকচান্দের স্ত্রীর অনুগ্রহপ্রার্থণী হইল, কিন্তু সেই কঠোরপ্রাণ রমনী এই সময় তাহাকে সাহায্য করা থাক-- বাক্যবাণে জর্জরিত করিল। তদবস্থায় অনশনে তাহার মৃত্যু হয়। কাতল দেশে আসিয়া এই ঘটনা শুনিতে পায় ও শোকে বিহবল হইয়া যে টাকা তাহার স্ত্রীকে রক্ষা করিতে পারিল না, এই দীর্ঘিকায় তাহা নিক্ষেপ করতঃ তাহাতে নিমজ্জিত হইয়া আত্মপ্রাণ বিসর্জন করে। কিছুদিন পরে কাকচান্দ বাড়ী আসিয়া এই ঘটনা শ্রবণে ভাতৃশোকে বিহবল হয় এবং নিজের গোলাভরা ধান্ত সত্বেও এইরূপ শোকাবহ ঘটনা ঘটিল বলিয়া ধান্তগোল ভাঙ্গিয়া প্রথমেই এই দীঘিকা-জলে সমস্ত ধান্ত নিক্ষেপ করিল এবং পরে স্বয়ং ভ্রাতার শোচনীয় পথের অনুসরণ করিয়া স্ত্রীর পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিল। এ গল্পটি এই স্থানে সংযোজিত করিবার উদ্দেশু আছে। যখন প্রাচীন কৈলাড়গড় পরিত্যক্ত হয়—যখন ত্রৈপুর রাজগণ শ্ৰীহট্ট সীমা হইতে রাজধানী উঠাইয়া লইয়াছেন, এই ঘটনা তৎকালের । ইহাতে জানা যাইতেছে যে, সেই ভীষণ দুর্তিক্ষেই প্রাচীন সহরটিকে ধ্বংস মুখে পাতিত করিয়াছে। বৰ্ত্তমান কৈলাসহর যেখানে, প্রাচীন সহর তথায় ছিল না, কিন্তু কাতলের দীঘী পৰ্য্যন্ত ইহা বিস্তৃত ছিল। বর্তমান কৈলাসহরের চারি মাইল উত্তরে প্রাচীন রাজবাটী ছিল, সেই স্থান এখন জঙ্গলাকীর্ণ। পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রোদয় বিস্তাবিনোদ মহাশয় প্রাচীন কৈলাড়গড়ের রাজবাট সম্বন্ধে ( শ্ৰী শ্ৰীযুতের কৈলাসহর ভ্রমণ পুস্তিকায় ) লিথিয়াছেন :-"এই রাজবাট প্রাচীন মন্থনদীর পূৰ্ব্বতীরে অবস্থিত, অধুনামকু প্রায় এক মাইল পশ্চিমে সরিয়া গিয়াছে।” • “রাজবাটীর দক্ষিণ ও পূর্বদিকে একটা বিল। এক সময়ে ইহা একটা গম্ভীর হ্রদ ছিল, বেশ বুঝা যায়।” প্রাচীন রাজবাটী।