পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা । ] চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ের টীকা। ఆసి শকুনিক যজ্ঞ উল্লেখ যোগ্য। (৭) শ্যামল বৰ্ম্ম নামক প্রসিদ্ধ নৃপতি কর্তৃক ঠিক অপর এক স্থানেও শকুনিপাত নিবন্ধন যজ্ঞকৰ্ম্ম কাহিনী ও ব্রাহ্মণ আনয়নের উল্লেখ দেখা যায়। তদনুকরণে যজ্ঞ এবং ‘আদি’ শূরের অনুকরণে ‘আদি’ ধৰ্ম্মপার দ্বারা ব্রাহ্মণ আনয়ন ব্যাপারটা কল্পিত বলিয়া বোধ হয় নাকি ? এই সকল প্রশ্ন উত্থিত হওয়া স্বাভাবিক, এই জন্যই এগুলির উল্লেখ করা আবখ্যক মনে করিলাম। আমাদের বিবেচনায় যজ্ঞ ও ভূদানাদি যথার্থ হইলেও দানপত্রগুলি বহুপূৰ্ব্বেই বিলুপ্ত হইয়া যায়। বিবরণটা প্রসিদ্ধ, অনেকেই জ্ঞাত ছিলেন, এবং তাহাই অবলম্বনে সাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণ বংশীয় এক ব্যক্তি ( yশ্যামসুন্দর ভট্টাচার্য্য) ইদানীং বৈদিক-সংবাদিনী রচনা করিয়া যতটা কিংবদন্তীর সহায়তাতে পারেন, ততটা ইতিহাসরূপে নিবদ্ধ করিয়াছেন। তাম্রফলক একটা কি দুইট। ত্রৈপুর নৃপতি দিয়াছিলেন,—ইহা ঠিক হইতে পারে, যজ্ঞকুণ্ডের অস্তিত্বে যজ্ঞ ব্যাপার ও অমূলক নহে, ইহাই স্থচিত হয় । তবে তাম্রশাসনের প্রতিলিপি না পাইয়। বৈদিকসংবাদিনীকার নিজ ভাষায় উহার বিবরণ যতটা শুনিয়াছেন, ততটা স্বশক্তি অনুসারে পদ্যে রচনা করিয়াছেন । “কথায়াং সরসং বস্তু পদ্যৈরেব বিনিৰ্ম্মিতম্‌” ইহা অলঙ্কার শাস্ত্রের সন্মত। সুতরাং গদ্য রচনার মধ্যে এই পদ্য সন্নিবেশ অসঙ্গত হয় না। এইট। সুতরাং তাম্রলিপির অবিকল নকল নহে—তাহাদের কথা জনশ্রুতি দ্বারা যেরূপ প্রচলিত হইয়া আসিতেছিল, তন্মৰ্ম্ম পদ্যে প্রকাশিত হইয়াছে মাত্র। এই জন্যই শ্ৰীশ্ৰীযুক্তাদিধৰ্ম্মপা আধুনিকোচিত ভাব ও ভাষায় লিখিত হইয়াছে । যজ্ঞ হইয়াছিল, ইহা ঠিক ; কিন্তু কি জন্য হইয়াছিল, এতকাল পরে স্মরণ না হওয়াতে অপর স্থানের তাদৃশ ঘটনার ছায়াপাত হওয়া অস্বাভাবিক নহে। শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বর ১৪০৭ খৃষ্টাব্দে রাজমালা রচনা করেন, ইহঁর যজ্ঞকালের বহুপরবর্তী—আধুনিক লোক এবং বোধ হয় সাম্প্রদায়িক শ্রেণীর নহেন ; তাই এই বিষয়টা ভুল করিয়াছেন বলিয়া অম্বুমান করা যাইতে পারে। ঐতিহাসিকের কর্তব্য বড় গুরুতর। কোনও কথা চাপিয়া না রাখিয়া