পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায় ।] মোসলমান আক্রমণ । ዓop বা ক্ষতির কি কারণ আছে ? ফলকথা—নিধিপতির জন্মস্থান ষে কান্তকুজে ছিল, তাহ সুনিশ্চিতরূপে কেহই বলিতে পারিবেন না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সমাজে অবিসংবাদীরূপে যখন দানপত্রদ্বয়ের যথার্থ স্বীকৃত, এবং তাহাতে যখন যথাক্রমে ‘মৈথিলেষু’ ও ‘মৈথিলায়” শব্দ পাওয়া যাইতেছে, তখন সাম্প্রদায়িকদের পূর্বপুরুষ যে মিথিলাগত, তাহা একরূপ নিশ্চিত এবং ইহা তাহদেরই মত-সম্মত বলা যাইতে পারে। বৈদিক পুরাবৃত্তের কথায় অনেক স্থলেই যে সন্দেহ উপস্থিত হয়, ইহা যে অপ্রামাণ্য গ্ৰন্থরূপে অসঙ্গত ভাবে পরিত্যক্ত হয় নাই, এই সামান্ত কথা কয়েকটিতেই তাহা বুঝা যাইতে পারে। ৬ষ্ঠ অধ্যায়—মোসলমান আক্রমণ । খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্য্যন্ত ধৰ্ম্মধরের গৌরবাত্মক রাজত্ব কাল । ঐ সময়ে তিনি যে শ্ৰীহট্টের একছত্র নরপতি ছিলেন, তাহা বলা যায় না। ঐ এক সময়েই বর্তমান সুনামগঞ্জ সবডিভিশনের অন্তর্গত লাউড়ে বিজয় মাণিক্য নামে জনৈক হিন্দু নৃপতির রাজ্য ছিল বলিয়া জানা যায়। তৎকাল পর্য্যন্ত ত্রৈপুর রাজবংশে মাণিক্য উপাধি ধৃত হয় নাই । বিজয় মাণিক্য দ্বাদশ শতাদীর নৃপতি বলিয়া (সময়ের ক্রমাঙ্গুরোধে) এস্থলে তাহার উল্লেখ মাত্র করা গেল, তৃতীয় খণ্ডের প্রথম অধ্যায়ে পাঠক তাহার কাহিনী দেখিতে পাইবেন। মহারাজ ধৰ্ম্মধরের পুত্রের নাম কীৰ্ত্তিধর (সিংহতুঙ্গ বা ছেংথুম ফা), তিনি সত্যনিষ্ঠ, ঈশ্বরভক্তি পরায়ণ ও রণনিপুণ ছিলেন । কীৰ্ত্তিধর তিনি মিহিরকুল রাজ্য (প্রাচীন কমলাঙ্ক) জয় করিয়৷ ਾਂ | মেঘনাদ তীর পর্য্যন্ত নিজ রাজ্য সীমা বিবৰ্দ্ধন করেন। রাজমালা লেখক বলেন ঃ— “তান পুত্র ছেংথুম রাজা মেহেরকুল জিনে ৷” হীরাবস্ত নামে র্তাহার জনৈক সামন্ত তৎপ্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন । র্তাহাকে ধৃত করিবার জন্য সৈন্য প্রেরিত হইলে হীরাবস্ত ভয়াতুর হইয়া গৌড়েশ্বরের আশ্রয় গ্রহণ করেন । গৌড়াধিপতি আশ্রিতের সাহায্যে একদল সৈন্ত পাঠাইয়া দেন। সেই সৈন্তের আধিক্য দর্শনে মহারাজ কীৰ্ত্তিধর ভয়াতুর