পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ১ম অঃ — উচ্চ শিরঃ ; ঝোপ ঝাড়ে সুষমার সীমা বিভূষণ বনবন্ধু লতার মহিমা। “কত শত বনফুল কাননে ফলিত, কত শত পুষ্পকলি কন্দরে কলিত। বিপিনের কলকণ্ঠ মুগায়কগণ নিত্য প্রাতে বিভু গুণ করে সংকীৰ্ত্তন “অদূরে পাহাড় শোভে নীল নভঃ তলে কত নদী নিঝরিণী উপবীত গলে, অপূৰ্ব্ব গম্ভীর মূৰ্ত্তি প্রশান্ত দর্শন দেখ দূরে, যেন যোগী যোগে নিমগন।’ ইত্যাদি। ৮ প্যারি চরণ দাস কৃত পষ্ঠ পুস্তক ৩য় ভাগ। বর্ষাকালে হাওরের দৃপ্ত তদ্রুপই গাম্ভীৰ্য্যময়। যতদূর দৃষ্টির সীমা,—বহু যোজন ব্যাপী অনন্ত জলের রাশি,—কুল নাই, কিনারা নাই, যেন বিশাল সমুদ্র। সুনীল সলিল রাশি টলটল করিতেছে ; বায়ুবেগে চলচল চলিতেছে। কখন বা হুঙ্কার করিয়া, সুশুভ্র ফুৎকার ছাড়িয়া, উৰ্ম্মিরাজি প্রধাবিত হইতেছে। কোথাও বা স্থির সলিলে, নীলাস্তরণে কুমুদ কালারাদি জলজ পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত রহিয়াছে ; যেন নীলাকাশে অগণ্য নক্ষত্র পুঞ্জ। হেমন্ত ঋতুতে মাঠের শোভা —ামল দুৰ্ব্বাদল বিলসিত মাঠগুলির মাধুৰ্য্যময় দৃগুই বা কি মনোরম ! কিন্তু সৰ্ব্বোপরি যখন শস্ত শুামল ক্ষেত্রগুলি বায়ুতরঙ্গে লহরে লহরে ক্রমোন্নত ভাবে খেলিতে থাকে, জলের সুষমা যখন স্থলে প্রতিভাসিত হয়, তখন লক্ষ্মীর মেহামৃত বৈভব, গৌরবশালিনী সেই ক্ষেত্র-সম্পত্তির মাধুৰ্য্যে মন মোহিত না হইয়া যায় না । তখন কবির ভাবে মন যেন গাইতে থাকে— “শ্ৰীহট্ট লক্ষ্মীর হাট আনন্দের ধাম ; স্বৰ্গাপেক্ষ প্রিয়তর এ ভূমির নাম।” tারি চরণের পক্ট পুস্তক।)