পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २ग्न छांई »भ थं ہ پi তাহার প্রমাণ আছে। এই কাল পর্য্যন্ত শ্ৰীহট্ট মোসলমানদের পদানত হয় নাই, এই পৰ্য্যন্তই শ্ৰীহট্ট স্বাধীনতা সম্পদ ভোগ করিয়াছিল। যদিও গিয়াস উদ্দীনের সময় (খৃঃ ১২১২ অব্দ ) কৈলাড়গড় আক্রান্ত হইয়াছিল, যদিও ইয়াজবেগের সময় (খৃঃ ১২৫৩ অব্দ ) শ্রীহট্টের অন্যতর খণ্ডরাজ্য (জাজমরদন) বিনষ্ট হইয়াছিল, তথাপি ইহাকে শ্ৰীহট্ট বিজয় বলা যাইতে পারে না; পূৰ্ব্বোক্ত মোসলমান রাজগণ ক্ষণকালের নিমিত্ত শ্রীহট্টে আপতিত হইয়া, কেহ বা পরাভূত এবং কেহ বা দস্থ্যর ন্যায় ধন রত্ন লইয়া চলিয়া গিয়াছেন মাত্র। সেই সময়ে অবস্থা বিবেচনায়, শ্ৰীহট্টে শাসন বিস্তার করা তাহারা সহজ মনে করেন নাই । গিয়াসউদ্দীন নিজ রাজধানী লক্ষ্মণাবতী আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাইয়া চলিয়া গেলে, এবং ইয়াজবেগ আসাম বিজয়ে অগ্রসর হইয়া যুদ্ধে নিপতিত হইলে শ্ৰীহট্ট ভূমি পুনঃ যবন স্পর্শশন্ত হইয়াছিল ; ইহাদের ক্ষণিক অত্যাচারে কোনরূপ ক্ষতি হয় নাই ; হিন্দু নৃপতিবর্গের দৃপ্ত তেজোগৰ্ব্ব খৰ্ব্ব হয় নাই ; অতএব এই সময় পৰ্য্যন্তই গেীরাবান্বিত হিন্দু রাজত্বের কাল বলিয়া আমরা নির্দেশ করিতে পারি। যদিও মহারাজ কীৰ্ত্তিধর শ্রীহট্টের সমতল ক্ষেত্রে অতঃপর রাজধানী রাখা নিরাপদ মনে করেন নাই ; তথাপি স্পর্ক সহকারে বলা যাইতে পারে যে, মহারাজ প্রতীত হইতে কীৰ্ত্তিধর পর্য্যন্ত সকলেই সগৌরবে স্বাধীনতা সম্পদ সম্ভোগ করিয়াছেন। এই ত্রৈপুর নৃপতিবর্গ শ্ৰীহট্টের একটি খণ্ড রাজ্যের অধিপতি ছিলেন বলিয়া, তাহাদের গরীয়সী গৌরবগাথা শ্ৰীহট্টের ইতিহাসের অঙ্গস্বরূপ হইয়াছে। অতঃপর এই সুপ্রাচীন রাজবংশীয়দের মহতী কীৰ্ত্তিকথা বর্ণনের সুবিধা আমাদের ঘটিবে না। খৃষ্টীয় রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত ত্রৈপুর রাজবংশের ইতিহাস শ্ৰীহট্টইতি বৃত্তের অঙ্গ। অতএব আমরা কীৰ্ত্তিধরের কীৰ্ত্তির সহিত এই গৌরবাত্মক প্রথম খণ্ড পরিসমাপ্ত করিলাম । শ্ৰীঅচ্যুত চরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি কৃত শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্তে দ্বিতীয় ভাগে প্রথম খণ্ডে প্রাচীন বিবরণ সম্পূর্ণ। ’