পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ग्न उl: २ग्नर्थ: (৩) তাহ না হইলে, গোবিন্দ শ্ৰীহট্ট জিলার কোন হাওরের পরপর হইতে গৌড়ে আসিয়া ভাগ্যবশে রাজ্যাধিকারী হইয়াছিলেন । তদ্ব্যতীত ইহঁর পরিচয় কেহ জ্ঞাত নহে। কিন্তু তাহাকে খাসিয়া জাতীয় কোন রাজকুমার অনুমান করা সঙ্গত হয় না । র্তাহার কীৰ্ত্তি ও জনশ্রুতি র্তাহাকে সভ্য হিন্দু নৃপতি বলিয়া প্রচারিত করিতেছে। তাহার নামানুক্ৰমে “গৌড়গোবিন্দ” বলিয়া ক্ষুদ্র এক ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় আছে। * খাসিয়া জাতীয় কোন রাজার নামে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের পরিচিত হওয়া সম্ভাবনীয় নহে। এই সম্প্রদায় রাজা গোবিন্দের সময়ে কোন ঘটনা বিশেষে তন্নামে অভিহিত হইয়া থাকিবেক । খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে যিনি রাজত্ব করেন, শ্ৰীহট্টের সেই শেষ হিন্দু নৃপতি গৌড়-গোবিন্দ বীরপুরুষ ছিলেন। তিনি দূর হইতে শব্দ মাত্ৰ শুনিতে পাইয়া, অন্তরাল হইতে লক্ষ্যভেদ করিতে পারিতেন। ; এইরূপ র্তাহার

  • আসামের বিভিন্ন জাতির সম্বন্ধে (এনথ লজীর সুপারিনটেনডেন্ট, সাহেবের জন্য ) শ্ৰীযুক্ত ত্রিপুর চরণ মুখোপাধ্যায় মহাশয় একটি নোট প্রস্তুত করেন, তাহাতে বর্ণব্ৰাহ্মণ বিষয়ক প্রস্তাবে তিনি বলেন যে,—‘গড়ের গোবিন্দী ব্রাহ্মণ রাজা গৌড়গোবিন্দের দ্বারা স্বঃ ইহারা সম্ভবতঃ বল্লাল-পীড়িত ব্রাহ্মণ। রাজকর্তৃক উপকৃত হওয়ায়, অনুগ্রহের নিদর্শন স্বরূপ গড়ের গোবিন্দী,বলিয়া পরিচয় দিতেন। পশ্চাদাগত রাটা প্রভৃতি হইতে বর্তমানে ইহঁাদের পৃথকত্ব বাহির করা দুর্ঘট।

আবার প্রদীপের এক প্রবন্ধে ( ১৩১১ বাং কাৰ্ত্তিক ) লিখিত আছে—“শ্রীহট্ট সহর হইতে ৬৭ মাইল ব্যবহিত স্থান হইতে পাতর সংজ্ঞক যে সকল ব্যক্তি সহরে পাতা, কাঠ, কয়লা প্রভৃতি বিক্রয় করে, তাহাদিগকে "গুরু গোবিন্দ বলিয়া পরিচয় দিতে শুনা যায়।” ইহারাও গৌড়গোবিন্দ সংস্কষ্ট কোন ঘটনা হইতে এই নাম ধারণ করা বিচিত্র নহে। ঃ "জানিহ শ্ৰীহট্ট নামে আছে পূৰ্ব্ব দেশ। ব্ৰহ্মপুত্রের পূর্ব স্থান আছে সবিশেষ । গোঁড় গোবিন্দ নাম তাহার নৃপতি । শব্দভেদী বাণ ৰ্ষার আছিল অধীতি । নানা মুখে রাজ্য করে গোবিন্দ নরবর ॥” ইত্যাদি। -नखद९°ांबजैौ। (भूमिठ ) ॥