পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»म श्रथाॉब्र ] রাজা গোবিনা ৷ এবং প্রাণাধিক পুত্ৰগণ সহ শ্ৰীহট্টে আসিলেন । * যাহার দর্শনেই রোগ পলায়ন করে, তাহার সুচিকিৎসা গুণে রাজা যে সত্বরেই জারোগ্য লাভ করিবেন, তাহার আর বিচিত্র কি ? রাজা আরোগ্য লাভ করিলে তিনি কাল বিলম্ব না করিয়া গঙ্গাতীরে প্রত্যাগমন করিতে প্রস্তুত হইলেন। রাজা তাহাকে এক বিশাল জনপদ প্রদান করিয়া সকাতরে তথায় বাসের জন্য প্রার্থনা করিলেন ; কিন্তু কিছুতেই ফল হইল না। ধৰ্ম্মভীরু দত্তরাজ গঙ্গাতীর ব্যতীত অন্যত্র দেহত্যাগ করিবেন, কিছুতেই এ কল্পনা মনে স্থান দিতে পারিলেন । না। তবে রাজার নিতান্ত নিৰ্ব্বন্ধাতিশয়ে নিজ জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রমদীশ্বরকে সঙ্গে লইয়া চলিয়া গেলেন ; মধ্যম ও কনিষ্ঠ পুত্র মহীপতি ও মুকুন্দ এদেশে রহিলেন। রাজা ইহঁদিকেই মহাসম্মানে সেই ভূসম্পত্তি দান করিয়া স্থাপন করিলেন। ইহঁরাই সাতগাও, লাখাই প্রভৃতি স্থানের দত্তবংশের আদি পুরুষ, তাহাদের ৰংশ বিবরণ পশ্চাৎ বক্তব্য । - রাজা গৌড় গোবিনা জারোগ্য লাভ করিলেন বটে, কিন্তু অধিক দিন শাস্তিতে রাজ্য ভোগ করিতে পারেন নাই, ইহার পরেই তাহাকে ভীষণ মোসলমান বিগ্রহে বিব্রত হইতে হয়। মোহাম্মদ তোগলক নামক কৃতবিদ্য সম্রাট যখন পারস্ত ও চীনদেশ বিজয়ের দুরাশায় পরিচালিত হইয়া আপনার শক্তি ক্ষয় করিতেছিলেন, যথন করমণ্ডল, শামসউদ্দীন ও কর্ণাট প্রভৃতি করতলগত প্রদেশ দিল্লীর অধীনতা ছেদন প্রতাপমাণিক্য। করিতেছিল, তখন বঙ্গদেশে ইতিহাস প্রসিদ্ধ সুলতান। শামসউদ্দীন ইলিয়াস খাজে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে অবস্থিত ছিলেন।

  • মুদ্রিত দত্তবংশাৰলী বিৰরণীতে চক্ৰপানি দত্তের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুত্রের নাম মহীপতি ও মুকুল বলিয়া লিখিত্ত আছে ; প্রথম পুত্রের নামোল্লেখ নাই। জাতিতত্ত্ব-বারিধিতে চক্রপাতিনয়ের নাম ক্রমদীশ্বর বলিয়া লিখিত আছে, সুতরাং তাঁহাকেই জ্যেষ্ঠপুত্র বলা যাইতে পারে। ভবানীপ্রসাদ দত্ত শ্রীহট্টে, অবস্থিত পুত্রেরই মাত্র নাম উল্লেখ করিয়াছেন, যথা:–

“মহীপতি নামে পুত্র এদেশে রাখিল । জ্যেষ্ঠ পুত্র সঙ্গে করি নিজ দেশে গেল।”