পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত। २झ खः २ १ وق جد করিলে, তিনি আশ্বাস দিয়া বলিলেন “তুমি আমার সঙ্গে চল, আমি রাজ্য সম্পত্তির লালসা রাখি না, শ্ৰীহট্টে এসলামধৰ্ম্ম প্রচার করিব, ইহাই উদ্দেশ্য। আমার রাজ্যে প্রয়োজন নাই, তথাকার ভূপতি তুমিই থাকিবে।” সিকান্দর ও হজরতের শিষ্য মধ্যে পরিগণিত হইলেন । এইরূপে শ্ৰীহট্ট সহরে পৌছার পূৰ্ব্বে হজরত শাহজালালের শিষ্য সংখ্যা ৩৬০ জন হইয়াছিল। অতঃপর হজরত সমস্ত দলবল সহ ব্ৰহ্মপুত্রপারে পৌছিলেন। গৌড়গোবিন্দ চরদ্বারা সৰ্ব্বদাই সিকান্দরের শিবিরের সংবাদ সংগ্ৰহ করিতেন ; শাহজলাল সমাগম সংবাদও তিনি যথাকলে পাইয়াছিলেন, এবং এইৰূতন দল যাহাতে ব্ৰহ্মপুত্র পার হইতে না পারে, তজ্জন্য নৌকার চলাচল বন্ধ করিয়া দিলেন । তখন শাহজলাল স্বীয় প্রভাবে (উপাসনাৰ্থ ব্যবহার্ষ্য নিজ নিজ চৰ্ম্মাসন জলে ভাসাইয়৷ তদবলম্বনে ) নদী পার হইলেন। গৌড়গোবিন্দ বুঝিতেও পারিলেন না যে কি উপায়ে প্তাহারা নদী পার হইলেন। তৎপর তিনি শ্ৰীহট্ট সীমাদেশে চৌকি নামক স্থানে ( দিনারপুর পরগণায় ) উপস্থিত হইলেন ; তৎকালে এস্থানই শ্ৰীহট্টের গৌড় রাজ্যের সীমাভূমি ছিল । * এইস্থানে উপস্থিত হইলে সীমান্ত রক্ষী দ্বারা গোঁড়গোবিন্দ কর্তৃক গৌড়গোবিন্দ সংবাদ প্রাপ্ত হন ও অগ্নিবাণ C81 각 각 \8 প্রয়োগ প্রভৃতি কৌশল অবলম্বন পূর্বক সেই ভয় প্রদর্শনাদি । স্থানেই তাহাকে পরাজয় করিতে ইচ্ছুক হইলেন। কিন্তু যখন র্তাহার সমস্ত কৌশল ও চেষ্টাই বৃথা হইল, তখন গোবিন্দ উপায়ান্তর রহিত হইয়া, সেই স্থানের পূৰ্ব্বোত্তরে বরাক নদীতে খেওয়া নৌকা বা অপর কোন নৌকা চলাচল করা নিষেধ করিয়া দিলেন ; উদেহু শত্রুসৈন্যগণ যেন নদী পার হইতে না পারে।

  • "চৌকি নামে ছিল যেই পরগণা জাহার।

ছিলটের হর্দ ছিল সাবেক মসুর ॥ সেখানে আসিয়া তিনি পৌছিলা যখন। খবর পাইলা তযে গোবিন্দ তখন ॥” 曲 তোয়ারিখে-জলালি ।