পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় অধ্যায় ] নবাবি অমিল । &\@ একটি ভৃত্য সিংহাসনাধিকার করে, কিন্তু অচিরেই ইলিয়াস বংশীয় জনৈক যুবকের হস্তে নিহত হয়। গণেশ-পৌত্র আহমদ শাহের পর ইলিয়াস বংশীয় নাদীর শাহ, তৎপর বরবক শাহ, তাহার পর ইউসুফ শাহ রাজত্ব করেন। এই ইউসুফের নামাঙ্কিত একটি প্রস্তরলিপি শাহজলালের দরগার দ্বারদেশে গ্রথিত থাকায় ইহঁর নামের সহিত শ্ৰীহট্টের সম্বন্ধ সূচিত হইতেছে। ১৪৮২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন, তৎপর হাবলী বংশীয় পাঁচ জন নৃপতির ক্ষীণহস্তে বঙ্গের শাসনদণ্ড পরিচালিত হয় ; ইহারা শ্ৰীহট্টের প্রতি মনোনিবেশ করিবার অবকাশ প্রাপ্ত হন নাই । ইহণদের শেষ রাজা মুজঃফর শাহ। তাহার সময় পর্যন্ত (১৪৯৫ খৃঃ) শাহজলালের দরগার প্রধান কৰ্ম্মাধ্যক্ষগণ কতিপয় সৈন্য রাখিয়া শ্রীহট্ট শাসন করিতেন বলিয়াই অনুমিত হয়। তাহদের ক্ষমতা শ্ৰীহট্ট সহরের বাহিরে অল্পদূরেই বিস্তারিত ছিল, এবং সেই সুযোগে পাশ্ববৰ্ত্তী জমিদারগণ মস্তকোত্তলন পূৰ্ব্বক স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন, ইহার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এই সময়ের মধ্যে দিল্লীর রাজসিংহাসন তোগলক বংশীয়দের হস্ত হইতে লোদী বংশীয়ের অধিকারে আসে। বেহলুল লোদী পঞ্জাব জয়ান্তে ছাব্বিশ বৎসর কাল যুদ্ধের পর জোয়ানপুর অধিকার করেন ( ১৪৭৬ খৃষ্টাব্দ ); জোয়ানপুরের অধিপতি হুসেনশাহ স্বরকি (মতান্তরে হুসাঙ্গ,) তখন পলায়ন পূর্বক বঙ্গদেশে আগমন করেন। যখন বঙ্গদেশ এবিসিনিয়ান ও খোজ দাসগণের হস্ত হইতে হস্তান্তরে সৈয়দ হুসেন শাহ ও যাইতেছিল, তখন সৈয়দ আলাউদ্দীন হুসেন হুসেন শাহ সুরকির শাহ বঙ্গদেশে আগমন করেন। তিনি হজরত সময়ে শ্রীহট্ট। মোহাম্মদের বংশীয় ছিলেন। তাহার পিতা মক্কার শেরিফ ছিলেন বলিয়া তিনিও উক্ত উপাধি ধারণ করিতেন। সৈয়দ আলাউদ্দীন হুসেন শাহ পূৰ্ব্বোক্ত মুজাফর শাহকে পরাভূত করতঃ গৌড় সিংহাসন করায়ত্ত করেন। তিনি অসাধারণ বীর, কৰ্ম্মকুশল ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন। পূৰ্ব্বাঞ্চলে তিনি ত্রিপুরাধিপতি ধন্ত মাণিক্যের সহিত যুদ্ধ