পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অধ্যায় ।] নবাবি আমল । 년) ংগ্ৰহ করিয়া নিজে আত্মসাৎ করিয়া ফেলিয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে শুকুরুল্লা গোপনে ঢাকার নবাবকেও হাত করিয়া লইয়াছিলেন ও সৰ্ব্বত্র হরকৃষ্ণের মোসলমান বিদ্বেষের ও হিন্দু স্বাতন্ত্র্য স্থাপনের প্রয়াসের কথাও প্রচারিত করিয়া দিলেন। শুকুরুল্লার প্রদত্ত বিষবটিকা ঢাকার নবাব হইতে মুর্শিদাবাদের নবাবও গ্রহণ করিলেন ; ব্যাপার ক্রমেই গুরুতর ও ভয়ঙ্কর হইয়া উঠিতে লাগিল ; প্রধূমিত অগ্নি আর কতক্ষণ প্রচ্ছন্ন থাকে ? শ্ৰীহট্রে হিন্দু মোসলমানে বিবাদের আগুণ জলিয়া উঠিল। শুকুরুল্লা দেখিলেন, মহাপ্রতিভাশালী পরাক্রান্ত হরকৃষ্ণ বঁচিয়া থাকিতে চরম জয়ের আশা তাহার পক্ষে একরূপ দুরাশা, তাই হরকৃষ্ণের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্ৰও সংগোপনে অর্ণটিলেন । হরকৃষ্ণের দেহরক্ষক সৈনিকগণের একব্যক্তি শুকুরুল্লার নিকটে গোপনে স্বধৰ্ম্ম বিক্রয় করিয়া তাহার গুপ্ত হত্যার ভার লইল । তখন হিন্দু মোসলমানের প্রধূমিত বিদ্বেষানল জলিয়া উঠিয়া রীতিমত যুদ্ধ বাধিয়া গিয়াছে। শুনা যায়, কাজলসারের নিকটবৰ্ত্তী মালিনীর তীরবর্তী প্রান্তরে এই যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। যুদ্ধের দিনও যথাসময়ে স্নানাদি করিয়া হরকৃষ্ণ ঠাকুর ঘরে ইষ্ট পূজাতে বসিয়াছিলেন। এরূপ অবস্থায়, বিশ্বাসঘাতকতার ষড়যন্ত্রানভিজ্ঞ, আত্মরক্ষায় অপ্রস্তুত, ধ্যাননিমগ্ন হরকৃষ্ণকে দুরাত্মা দেহরক্ষক তরবারির গুপ্তাঘাতে ইত্যা করিল! এবং তাহার ছিন্ন মুণ্ড শূলাগ্রে উত্তোলন করতঃ উন্মত্তোল্লাসে শেখঘাটের একাংশে অবস্থিত শুকুরুল্লার বাটীর দিকে ছুটিল !” * পথি পাশ্বেই যুদ্ধক্ষেত্র। হরকৃষ্ণের বিশ্বস্ত অন্যতম সেনাপতি রাধানাথ তখন মোসলমান সৈন্তদিগকে বিমৰ্দ্দিত করিতে ছিলেন, মোসলমান পক্ষে

  • “Har Krishna posessed a geneous heart, but was unförtunately

murdered by his own body-guards, who were instigated by Sukurullah, dhe lato Nawab of Sylhet.” \ Tho. Modern History of the Indian Chiefs and Rajas &c. Part II, By L. N. Ghose.