পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግØ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २घ्र उl: २झ ५: কথা পূৰ্ব্বেই বলা গিয়াছে, আনন্দ বাজারের প্রবন্ধে লিখিত হইয়াছে, “সাহী” জাতি নহে, উহা প্রাচীন কালে নবাব কর্তৃক ধনী সম্রাস্ত পরিবারে প্রদেয় ধনশালিত্বের গৌরবস্থচক উপাধি মাত্র। সাহা হইতে অধিকতর ধনীগণ ‘শেঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধনীরা জগৎশেঠ উপাধির অধিকারী ছিলেন। এই সাহাগণ কায়স্থ জাতীয় ছিলেন। ইহার শ্রীহট্টের আমিলগণের খাজাঞ্চি বা কোষাধ্যক্ষ, ইহঁাদের ধনের কথা প্রবাদ জনক ; জনশ্রুতি আছে, ঢাকার কোন নবাব রাজকাৰ্য্য ব্যপদেশে শ্রীহট্ট আগমন করিলে, তৎকালিক কোষাধ্যক্ষ ‘সাহাজী’ আমন্ত্ৰণ করিয়া, সুবর্ণ মোহরমণ্ডিত পথে নবাবকে স্বীয় বাটতে লইয়৷ গিয়াছিলেন । ইহাদের শেষ বংশধর গোকুল চাদ ধ্বংসাবশিষ্ট সম্পত্তি অপব্যয়ে নষ্ট করিয়া নিতান্ত হীনদশাগ্রস্ত হইয়া, প্রায় ৪০ বৎসর হইল, কুষ্ঠরোগে প্রাণ ত্যাগ করেন ।” হরকৃষ্ণ নবাবি পাওয়ার পর মালিনী নামক ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী তীরে এক বিস্তৃত দীর্ঘিকা খনন করাইয়া, তাহার তীরে ১০৮টি কালী পূজা করাইয়াছিলেন। তাহার পূজিত ৬ছিন্নমস্ত দেবীর মন্দিরের ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি তথায় দৃষ্ট হয়। নবাব হরকৃষ্ণ নিঃসন্তান ছিলেন, তাহার অগ্রজ শ্ৰীকৃষ্ণ রায়ের পুত্র জয়কৃষ্ণ হরকৃষ্ণের এই আকস্মিক বিপৎপাতে নিতান্ত বিপন্ন হইয়া পরবত্তাঁদের পড়েন, তিনি পিতৃব্যের গুপ্ত-হত্য ভূমি অপবিত্র কথা । জ্ঞানে ঐ বাটী ত্যাগ করিয়া কিঞ্চিৎ ব্যবহিত উত্তরে নূতন এক বাট প্রস্তুত ক্রমে বাস করিতে লাগিলেন। নবাবের মীর মোনশী বিশ্বনাথ প্রভুহত্যায় অত্যন্ত ব্যথিত হন ও ঢাকায় গমন করতঃ এই অবৈধ হত্যার প্রতীকার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোন ফলই হইল না ! তবে কর্তৃপক্ষ ইহার কয়েক বর্ষ পরে, হরকৃষ্ণের ভ্রাতুষ্পুত্র জয়কৃষ্ণকে শ্ৰীহট্টের কানুনগো ও দস্তিদার পদ প্রদান করায় কথঞ্চিং আত্মপ্রসাদ লাভ করেন ; (১৭০৫ খৃষ্টাব)*

  • দস্তিদারী সনন্দের উদাহরণ স্বরূপ জয়কৃষ্ণ দাসের সনদ খানার অনুবাদ নিম্নে উদ্ধত করা গেল –“বৈকুণ্ঠতুল্য স্থবেবাঙ্গালার অস্তঃপাতি শ্ৰীহট্ট চাকলার কনুনগো, চৌধুরী, ভদ্রলোক, জমিদার ও প্রজাবৰ্গ জানিবা—জানা গেল যে সুবিদ রায়ের পুত্র সম্পদ রায়ের পুত্র যাদব রায় উক্ত চাক্‌লার কানুনগো ও দস্তিদার নিঃসস্তান মরিয়াছেন । সুবিদ রায়ের