পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У o e শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। २ध्र उtः २झ १: (৮) শাহ মহমুদ–লস্করপুরের নিকট উদ্বুবাজারের কাছে তাহার দরগা আছে । 譽 (৯) শাহ বদর–ইহঁর বাসস্থান বদরপুর। বদরপুর জংশনের অতি নিকটেই ইহার দরগা অবস্থিত। ( ১• ) শাহ সুলতান—ইহঁর দরগা ময়মনসিংহের মদনপুরে অবস্থিত। (১১) শাহ বদর উদ্দীন—চট্টগ্রামে ইহঁার প্রসিদ্ধ দরগা আছে। ( ১২ ) নাম অজ্ঞাত—কুমিল্লার খড়মপুরে ইহার দরগা বৰ্ত্তমান। তরফ জয়ের পর সৈয়দ নসির উদ্দীন তরফের শাসনভার প্রাপ্ত হন। তিনি লস্করপুর। সৈন্যগণ সহ যেস্থানে বাস করিয়া রাজ্য শাসনে প্রবৃত্ত হন। সে স্থান লস্করপুর নামে খ্যাত হয়, তাহার বৈদেশিক সৈন্যগণ উর্দু ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত কহিত, প্রধানতঃ সৈন্যদের দ্বারা লস্করপুরের সন্নিকটে যে বাজার বসিয়াছিল, তাহ উর্দু বাজার নামে খ্যাত হয়। সৈয়দ নসিরউদ্দীনের শাসনে সত্বরেই তরফে শান্তি স্থাপিত হইয়াছিল ; তিনি পূৰ্ব্ব কথিত কাজি কুরউদ্দীনের কন্যার সহিত নিজ পুত্রের বিবাহ দিয়া সেই বিষাদগ্ৰস্ত নিরাশ্রয় পরিবারকে সাত্বনা দান করেন। নসিরউদ্দীন মধ্যে মধ্যে শ্রীহট্টে গিয়া হজরত শাহজলালের সহিত সাক্ষাৎ নসিরউদ্দীনের করিতেন। একদা তিনি এক স্বপ্ন দর্শন করেন, কবর। তাহাতে র্তাহার ধারণা জন্মে যে তিনি আর বঁচিবেন না। স্বপ্ন দর্শনের পর তিনি শ্রীহট্টে গমন করেন ও হজরত শাহজলালকে এই অনুরোধ করেন, যেন মৃত্যুর পর তদীয় দেহ পীরমহল্লাস্থিত আদিন মসজিদে রক্ষিত হয়। অতঃপর কিছুকাল রাজ্যভোগান্তে নসিরউদ্দীন পরলোক গমন করেন। তদীয় দেহ আদিনা মসজিদে রক্ষিত হইল, কিন্তু একটু পরেই তাহার শব আর পাওয়া গেল না। তখন শবের অভাবে শবাধারটির সমাধি দেওয়া হইল, সেই সমাধির চিহ্ন অদ্যপি পীরমহল্লায় দৃষ্ট হয়। নসিরউদ্দীনের পুত্র সিরাজউঞ্জ পিতৃবিয়োগেরপর পিতৃপদের উত্তরাধিকারী হন। ইহার মুসাফীর ও ফকির নামে দুই পুত্র হয়। মুসাফীর পিতৃরাজ্য ভোগ করেন। র্তাহার চারি পুত্র, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ সৈয়দ শাহ খোদাবন্দ রাজ্যলাভ !