পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So So শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত। ২য় ভাঃ ২য় খঃ অধিকারী বলিয়া উল্লেখ করতঃ অধিকার প্রাপ্তির আবেদন করিলেন। মিনার পরিচিত কোন কোন ব্যক্তি তখনও সম্রাট দরবারে ছিলেন, প্রধানতঃ ইহাদের চেষ্টাতেই বিষয়টি আপোষে মীমাংসিত হইবার চেষ্ট৷ হয়। তদনুসারে মুসা-পুত্র আদম তরফের নয় আনা এবং মিনার তনয়দ্বয় সাত আনা অংশ ও প্রথম “রিয়াসত” ( কর্তৃত্ব ) প্রাপ্ত হন।* রিয়াসত প্রাপ্তি সম্বন্ধে একটি গল্প আছে। কে রিয়াসত পাইবে, ইহার মীমাংসার জন্য একট পরীক্ষার আয়োজন হয়, একটি দীর্ঘ লৌহ শলাক প্রোথিত করতঃ বলা হয় যে, উভয় পক্ষের মধ্যে যিনি লম্ফ প্রদানে উহা উল্লঙ্ঘন করিতে সমর্থ হইবেন, তিনিই প্রথম রিয়াসত পাইবার উপযোগী হইবেন। এতদশ্রবণে প্রাণের মমতায় আদম পশ্চাৎপদ হইলেন ; কিন্তু মিনা-পুত্র ইউনস সোৎসাহে অগ্রসর হইলে, সম্রাট সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে বরণ করতঃ প্রথম রিয়াসত প্রদান করিলেন। তদ্ব্যতীত মিন-তনয়ের উপর দেশের দেওয়ানী বিচার ভার এবং আদমকে ফৌজদারী বিচারাধিকার প্রদত্ত হয়। এইরূপ মীমাংসায় মীনাতনয়দ্বয় বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। অতঃপর তাহারা সকলেই তরফ প্রত্যাগমন করেন ।

  • সৈয়দ আবদুল আগফর কৃত তরফের ইতিহাস গ্রন্থের মতানুসারে এস্থলে বিরোধ মীমাংসার কথা লিখিত হইল ; সৈয়দ এমদাদুল হক সাহেব আমাদিগকে যে বিবরণ পাঠাইয়াছেন, তাহাতে তাহারা স্বয়ং “আপোষ মীমাংসা” করিয়া লইয়াছিলেন বলিয়া

লিখিত আছে। মুদ্রিত তরফের ইতিহাসে যে সকল তারিখের উল্লেখ আছে, তাহাও সবটি নিভুল নহে । সৈয়দগণের বংশাবলীর সহিত তাহার সামঞ্জস্য হয় না ( থ—পরিশিষ্ট্রে বংশপত্র দেখ )। এই ঘটনাটিকে রচয়িতা বহুপূৰ্ব্বে নিয়া ফেলিয়াছেন! সৈয়দ নসিরউদ্দীন সিপা-ই-সালার শাহজলালের সমসাময়িক ; তরফের ইতিহাসেও লিখিত যে ১৩৯৫ খৃষ্টাব্দে তিনি সনন্দ প্রাপ্ত হন। দ্বিতীয়তঃ সৈয়দ ইস্রাইল ১৫২৩ খৃষ্টাব্দে ( ৯৪১ হিঃ ) अष्ट्र রচনা করেন। ইহঁাদের সময় হইতে হিসাব করিলে (নসিরউদ্দীন হইতে ৬ষ্ঠ ও ইস্রাইল হইতে ৩য় স্থানীয়) আদম ও ইউনস প্রভৃতির সময়, মোগল সম্রাট আকবরের পূর্ববৰ্ত্তী হয় না।