পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায় । ] তরফের কথা । 33 y < দরগাতে তৎকৃত দুইটি পাকা মসজিদ আছে; ইহার সন্নিকটে ( গ্রামের মধ্যে) প্রায় তিনপোয়া মাইল দীর্ঘ এক দীর্ঘিকা দৃষ্ট হয়, কথিত আছে, , জনৈক ফকির উহা খনন করাইয়াছিলেন। * এই বংশে অনেক মহাত্মা জন্ম গ্রহণ করেন ; এই ৰংশীয় অনেকেই। “বুলবুলে বাঙ্গালা।” দিল্লীর সম্রাটকুমারদের শিক্ষকতা করিয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায়। শাহ আমানউদ্দীন নামক জনৈক কৃতবিদ্য ব্যক্তি দিল্লী হইতে এদেশে আগমন করেন, তিনি এই বংশে বিবাহ করিয়াছিলেন। তাহার বংশে শাহ রেহানউদ্দীনের জন্ম হয়, তিনি পারস্ত ভাষায় মনোহর কবিতা রচনা করিতেন, তাহার কবিত্ব শ্রবণে দিল্লীশ্বর তাহাকে “বুলবুলে বাঙ্গালী” উপাধি দিয়াছিলেন। পৈলের সৈয়দগণ সম্পত্তি অপেক্ষা বিদ্যারই সমধিক অনুরাগী ছিলেন ; পীরবাদশাহের অতি বৃদ্ধ প্রপৌত্র পারস্য ভাষায় স্বপ্নফল বিষয়ক এক গ্রন্থ লুিখিয়া গিয়াছেন। দশসনা বন্দোবস্তের সময় এই বংশীয় রিয়াজউদ্দীন ও জয়েন-উলআবেদীন বিদ্যমান ছিলেন, তাহদের নামে যথাক্রমে ২০২নং ও ২০৩নং তালুকের স্বষ্টি হয়। প্রসঙ্গতঃ আমরা অনেক দূরে আসিয়া পড়িয়াছি, অবান্তর ভাবে নরপতি ক্ষমতার ও পৈলের সৈয়দগণের বৃত্তান্তও কথিত হইয়াছে। হ্রাসতী । মূল বিষয়ে মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ও ফতার কথা কথিত হইয়াছে, ইহণদের সময় পৰ্য্যন্ত তরফের স্বাধীনতা একরূপ অব্যাহত ছিল, তখনও তাঁহার দেশের দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্ত ছিলেন, তখনও তাঁহার জমিদার শ্রেণীতে গণ্য হন নাই, তখন পর্য্যস্ত তাহারা সাধারণের নিকট “জুনিয়ার মালীক” বলিয়া বিবেচিত হইতেন ; সুতরাং তরফের স্বাধীনতার ইতিহাস সেই সময় পৰ্য্যন্তই বিবেচিত হইতে পারে। আলাউদ্দীনের পুত্র মোহাম্মদ হাসন ও ফত-তনয়ের নাম নাসির । ইহাঁদের সময়ে কাহ্নগোদের উপরে তরফের রাজস্ব আদায়ের ভার অর্পিত ૨૯: