পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २ध्र उtः २ २: হতভাগ্য হতাহতের এই ব্যবস্থা করিয়া আহমদ রজ ও হাদিমরজ বিলুণ্ঠন ৷ ১২৫ জন বলবান সৈন্য সহ ভবানী দেবকে খোন্দকারের বাড়ী লুণ্ঠন জন্য রামন্ত্র প্রেরণ করিলেন। আলীরজার জমিদারী উদ্ধারের অস্ত্র,—চৌধুরাইর সনদ রামন্ত্ৰতে রক্ষিত ছিল, সৰ্ব্বাগ্রে তাহ সংগ্রহের প্রয়োজন ; এই জন্য ভবানীদেবের প্রতি বিশেষ আদেশ ছিল। বাৰ্ত্তাবাহক মুখে রিয়াজুর রহমান এই যুদ্ধ বাৰ্ত্তা, এবং পিতা ও ভ্রাতার নিধন সংবাদ প্রাপ্তে অন্তঃপুর মধ্যে বিষাদিত চিত্তে ইতিকৰ্ত্তব্যতা নিৰ্দ্ধারণ করিতেছিলেন। লালা সাহেব, মীর কিয়ামউদ্দীন ও হাশিম ঠাকুর নামক সম্রাস্ত ব্যক্তিত্রয় তাহাকে সাস্বনা করিতেছিলেন ; খোন্দকারদের সরকার মতিরামও সেখানে উপস্থিত ছিল । বিজয়ী বিপক্ষগণ কখন কি করিবে বলা যায় না, অতএব সত্বর অর্থাদি রক্ষার সদ্ব্যবস্থা করা সঙ্গত, বুদ্ধিমান মতিরাম এই কথা বলিলে, রিয়াজুর রহমান বহিৰ্ব্বাট হইতে তৎসমস্ত তাহার কাছে আনয়ন করিতে আদেশ করিলেন । _ মতিরাম বহিৰ্ব্বাটীতে গিয়া অনন্তরাম তহবিলদার সহ স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার বহুতর থলিয়া এবং মূল্যবান বস্ত্রাদি লইয়া ফিরিয়া আসিয়া দ্বারে করাঘাত করিতে লাগিল। তাহারা পুনঃ পুনঃ করাঘাত করাতেও কেহ ভিতর বাটীর দ্বারোদঘাটন না করায়, পুনশ্চ বহিৰ্ব্বাটীকায় গিয়া তাহার তৎসমস্ত যথাস্থানে রাখিয়া দিল। ইহার পরক্ষণেই লাখু প্রভৃতি বিপক্ষ সৈন্যগণ আসিয়া বহিৰ্ব্বাট বেষ্টন করে ও দ্বার উন্মোচন করিতে বলে । অনস্তরাম দ্বার খুলিয়া দিয়াই পলায়ন করিল। লাখু গৃহে প্রবিষ্ট হইল এবং মতিরামের পাগড়ী, কুৰ্ত্তা ইত্যাদি ছিন্ন করিয়া, তাহাকে প্রহর করিতে লাগিল। ভবানীদেব লাখুকে বারণ করিয়া, মতিরামকে ছাড়িয়া দিবার কালে, তাহার বস্ত্র মধ্যে ষোলভরি স্বর্ণ ও এক মোহর প্রাপ্ত হইল। ইহার পর সিন্ধুকের সমস্ত দ্রব্যই লুষ্ঠিত হইল। লুণ্ঠনকারীরা তৎপর সিংহদ্বার ভগ্ন করিয়া খোন্দকার মহলে প্রবিষ্ট হইল *৪ অকথ্য অত্যাচার করিতে লাগিল। কিন্তু তাহাতেও তাহদের জিগীষা