পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায় । ] তরফের অবশিষ্ট कुक्षी । - 〉a> বৃত্তি পরিতৃপ্ত হইল না। যখন মাহুষের মনে পশুভাব প্রবল হয়, তখন হিতাহিত জ্ঞান ত থাকেই না, পরস্তু ইহার শেষ সীমায় উপস্থিত হইতে অভিলাষ জন্মে ; লুণ্ঠনকারীরা অতঃপর অন্দর মহলে প্রৰেশ করিতে উদ্যোগ করিতে লাগিল। খোন্দকার-পুত্র প্রভৃতি সকলেই তখন অন্তঃপুরে অবস্থিতি করিতেছিলেন, তাহারা যখন অন্দর রক্ষার উপায় দেখিলেন না, তখন শাহলাল সাহেব নামক তাঁহাদের জনৈক কুটুম্ব পূৰ্ব্বোক্ত সনদ সহ মূল্যবান বহুদ্রব্য পূর্ণ এক সিন্দুক প্রাচীরের উপর দিয়া প্রেরণ করিলেন ; ভবানীদেব ঐ সমস্ত দ্রব্য ও বন্দী মতিরাম সরকারকে পাচজন দেশওয়ালীর সংরক্ষণে লস্করপুরে পাঠাইয়া দিল । লস্করপুরে গিয়াও মতিরামের লাঞ্ছনার শেষ হইল না, খোন্দকারের গুপ্ত ধনাগারের সন্ধান অথবা দশ সহস্র টাকা নজর দানের জন্য প্যাদাগণ তাহাকে প্রহার করিতে লাগিল ; মতিরাম নিঃশব্দে সমস্ত অত্যাচার সহ করিল, অবশেষে হামিদ রজার দয়াবতী মাত, মাত্র দশ মুদ্র নজরে তাহাকে মুক্তি দেওয়াইলেন। সাত আনির সৈয়দ নাজির চৌধুরীকে আহমদ রজা প্রভৃতির মনোরক্ষা করিয়া চলিতে হইত। হামিদ রজার অনুরোধে তিনি ও জিকুরাবাসী সোণাউল্লা লস্কর তালুকদার খোদকারের পরিবারবর্গকে সাৰনা করিতে লস্করপুর হইতে রামত্র প্রেরিত হইলেন, এবং “বিধিলিপি অশ্বগুনীয়, শোক করা বৃথা” ইত্যাদি সময়োচিত বাক্যে, আহমদ রজা প্রভূতির পক্ষে প্রবোধ দিলেন । তরফে ভদ্র পরিবারগুলি মধ্যে পরম্পরের বিপদে সমবেদনা প্রকাশ করা চিরন্তন রীতি ছিল, সেই রীতি রক্ষা করিয়া এইরূপ প্রবোধ দান করা: ভদ্রতার অঙ্গ বলিয় তাহারা মনে করিয়াছিলেন,—বিরূপ জন্ত নহে। যে সময়ের কথা বর্ণিত হইল; তখন মোসলমান রাজত্বের ভগ্নাবস্থা , ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী তখন দেশে নিজ ক্ষমতা বিস্তার করিতেছেন। শাসন ক্ষমতা নবাবের হাতে ছিল বটে, কিন্তু কোন গুরুতর ব্যাপার উপস্থিত হইলে, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত ইংরেজ কৰ্ম্মচারীও তাহাতে যোগ দিতেন।