পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায়। ] তরফের অবশিষ্ট কথা। ১২৩ m. Limfléid ع ছিলেন। বাদীর পিতা একজন দাম্ভিক ও ঈর্ষাপরতন্ত্র লোক ছিলেন, তিনি নিজ বন্ধু কৃষ্ণচান্দ শিকদারের সহিত পরামর্শ ক্রমে হামিদ রজাকে অপমানিত করিতে গালি দেন। এই স্থত্রে বিবাদ উপস্থিত হয়। মোতিওর রহমানই ইচ্ছা পূর্বক বিবাদ বাধান, এই উদ্দেশ্য বশতঃই তিনি প্রায় ৪০০ সৈন্ত জমা রাখিয়াছিলেন । তিনিই জমিদার-পক্ষ আক্রমণ করার জন্য প্রথমে স্বীয় পুত্রকে আদেশ দেন। তৎকর্তৃক আক্রান্ত হামিদ রজ বাধ্য হইয় আত্মরক্ষার্থ রণে প্রবৃত্ত হন। ইহাতে উভয় পক্ষেই হতাহত হইয়াছে। কৃষ্ণ শিকদার ও কাজিকে ধৃত করিয়া কয়েদ করা হয় নাই । কৃষ্ণ শিকদার খোন্দকারের রায় বাশিয়া . কর্তৃকই প্রহৃত হইয় তাহদের বাড়ীতে গিয়া আশ্রয় নেয়। খোন্দকারের বাড়ীতে জমিদারী সংক্রান্ত অনেক কাগজ পত্র ছিল, রিয়াজুর রহমান ক্রোধভরে পাছে তত্তাবৎ নষ্ট করেন, এই ভয়ে তদুদ্ধারের জন্য লোক পাঠান গিয়াছিল বটে, কিন্তু তাহারা কোনও কাগজ পত্রাদি আনে নাই। খোন্দকারের ভৃত্যগণই দ্রব্য সামগ্রী লুণ্ঠন করিতেছে দেখিয় তাহারা চলিয়া আসে। খোন্দকার-বণিতা স্বয়ং নিজের দুইটি ভৃত্যদ্বারা কাগজপত্র লস্করপুরের হাবিলিতে পাঠাইয়া দেন। তিনি আরও বলেন যে, দেলওয়ার খ! সেনাপতি, রাম শরণ আমীন ও সদর কানুনগো তাহাদিগকে ধৃত করিতে তরফে যান নাই। তিনি স্বয়ংই ইচ্ছা পূর্বক উপস্থিত হইয়াছেন। এই মোকদ্দমায় মৌলবী আব্দুল বাসিতের সাক্ষাতে রাম নারায়ণ আপোব । মোনশী ২৬ জন সাক্ষির জবানবন্দি গ্রহণ করেন,* করণ । সাক্ষিগণের জবানবন্দি পর্যালোচনায় বিচারকের প্রতীতি জন্মে যে, হামিদ রজ ও আহমদ রজার উদ্যোগ ও আক্রমণেই এই অনর্ধপাত ঘটিয়াছে।

  • মতিরাম তহবিলদার সাং ছিলিম নগর ; ভবানীদেৰ সরবরাহকার, নয় আনি কাছারী ; চাদ খাঁ বাৰ্ত্তাবাহক সাং মির্জাটোলা ; ভিকা বেলদার, দুলাল বেলদার সাং লস্করপুর ইত্যাদি দর্শক ও ঘটনা সংস্কষ্ট বহু ব্যক্তি সাক্ষিগণের মধ্যে ছিল।