পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায়। ] , তরফের অবশিষ্ট কথা। д S R& যুগ্ম নামে আহমদআলী দস্তখতের প্রচলন চলিয়া আসিতেছিল। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত গোলযোগের সময় হইতে এই যুক্ত নামাত্মক দস্তখত উঠিয়া যাওয়ায়, আলীরজার ভ্রাতা মদন রজ ও কায়েম রজার গোমস্ত গোলাব রাম দেব ঢাকাস্থ বড় সাহেব মি: রাটন ওলিয়রের নিকট আবেদন করেন যে, জমিদার আহমদ রজার নামের সহিত আলীরজার নাম সংযুক্তে, কাগজ পত্রে উভয় নামের যুক্ত দস্তখত ব্যবহৃত হইত, বিনা কারণে তাহ উঠাইয়া দেওম্ব গিয়াছে, অতএব তাহ পুনঃ প্রবর্তিত হইবার আদেশ হউক । ফলকথা, আলীরজার উত্তরাধিকারীগণ নূতন কল্পে চৌধুরাই সননা প্রাপ্তির প্রার্থনা করিলেন । এই প্রার্থনার ফল স্বরূপ তাহারা মিষ্টার রাটন ওলিয়রের দস্তখত যুক্ত এবং খাদের সরা কাজি ইব্রাহিম আলী ও নায়েব আব্দুল আলীর মোহর যুক্ত এক নূতন সনন্দ* ১৭৮৭ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে প্রাপ্ত হন। ইহার বলে নয় আনি জমিদারীর পাচ আন সাত গও ংশে মদন রজ ও কায়েম রজ অধিকার প্রাপ্ত হন । এই সময়ের অত্যন্ত্র পরেই প্রসিদ্ধ দশসনা বন্দোবস্ত আরম্ভ হয়।

  • এই পারস্য সনদের মৰ্ম্মানুবাদ নিম্নে দেওয়া গেল :–

এতদ্বারা চাকলে জাহাঙ্গির নগরের অন্তর্গত তরফ পরগণার চৌধুৰীয়ান, কানুনগোয়ান, তালুকদারান, রায়তান, জিরাতানকে জানান যাইতেছে যে, এতকাল যাবৎ উক্ত পরগণার নয় আনা অংশের মধ্যগত পাচ আনা সাত গণ্ডা অংশে সৈয়দ আহমদ আলীর দস্তখত হইয় আসিতেছিল। তন্মধ্যে আহমদ রজা আলীরজার প্রাণবধ ক্রমে মোকদ্দমায় আবদ্ধ থাকায় চৌধুৱাই হিস্ত হইতে বঞ্চিত হন। আলীরজার ভ্রাতা মদন রজ ও কায়েম রজা তখন উপস্থিত না থাকায় তাহাদের নাম জারি হয় নাই, সম্প্রতি গোমস্ত গোলাব রামের দরখাস্তে ইহা জানা গেল। অতএব আহমদ রজার স্থলে আলীরজার দস্তখত প্রচলিত হইল ; আর সৈয়দ মদন রজ ও কায়েম রজাকে চৌধুৱাইতে নিযুক্ত করা গেল। এক্ষণে তাহাদের উচিত যে তাহার চৌধুরাইতে বাহাল থাকিয়া রায়তান জিরাতানকে বশে রাখিয়া দিন দিন ভূমির উন্নতি সাধন, আবাদি ও শ্ৰীবৃদ্ধি করিতে থাকেন এবং তাহারা উপদেশের উপর দৃঢ় থাকেন। উক্ত পরগণা সকলের চৌধুৰীয়ান, কানুনগোয়ান, তালুকদারান, রায়তান, জিরাতান এবং কর্মচারীয়ান ইহাদিগকে চৌধুম্বাই পদে বাঢ়াল জানিয়া তাঙ্গদের কৰ্ত্তব্য কার্ঘ্যে অবহেলা ন৷ করেন । ইহা তাগিদ তাগিদ জানিয়া সনদের নিয়ম পালন করেন।’