পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায়। ] ইটার রাজা । כטיל স্বরানন্দ ও পশ্চিম ভাগ এই পাচ গ্রাম দান করেন। ইহাতে রঘুপতি ধনবান বলিয়া পরিগণিত হন। ( রঘুনাথ শিরোমণি । ) রঘুপতির মাতা অতি তেজস্বিণী রমণী ছিলেন। একটি স্বন্দরী বন্ধু মাতৃ ও ভ্রাতৃ আনিয়া ঘরকন্না করিবেন, এ তাহার বহু দিনের পরিচয় । সাধ ছিল। রঘুপতির বিবাহ জন্য একটি পাত্রীও একরূপ স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন। রঘুপতি তাহার একান্ত অনভিমতে রাজার খঞ্জ কন্যা বিবাহ করায় তিনি অতীব দুঃখিত হন। এই দুঃখে সেই তেজস্বিণী বিধবা, কনিষ্ঠ পুত্র রঘুনাথকে লইয়া দেশত্যাগ পূৰ্ব্বক নবদ্বীপে গমন করেন। এই রঘুনাথই ভূবন বিখ্যাত রঘুনাথ শিরোমণি। প্রসিদ্ধ গোবিন্দ চক্রবর্তীর পাণ্ডিত্য প্রতিভা প্রবাদের ন্যায় শুনা যায়, শুদ্ধি দীপিকার দীপিকা প্রভা’ নামী টীকা র্যাহার কীৰ্ত্তি প্রচার করিতেছে, কুশাগ্রবুদ্ধি শিরোমণি সেই বংশ-খণিরই অমূল্য মণি। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে “ভারত-গৌরব রঘুনাথ শ্ৰীহটের পঞ্চখণ্ডে জন্ম গ্রহণ করেন। র্তাহার মাতার নাম সীতাদেবী।" তিনি নিজ পুত্র রঘুপতির ব্যবহারে বিরক্ত হইয়া "রঘুপতির সংশ্ৰব, এমন কি স্বীয়

  • “কাত্যায়ন গোত্রজীয় রঘুপতি দ্বিজন্মনে।

রাজখলাং সশস্ত্যাঞ্চ যৌতুকত্বেন দত্তবান ||”—বৈদিক নির্ণয় গ্রন্থ। কেহ কেহ বলেন, পঞ্চগ্রাম ব্যতীত আরও ১৪ গ্রাম যৌতুক দিয়াছিলেন। + রঘুনাথ শিরোমণির কাহিণী শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰ নাথ বসু প্রণীত “বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসে” ২য় ভাগের ৩য় অংশে ১৮৭—১৯• পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে ; উদ্ধত ংশ উক্ত ইতিহাস হইতেই গৃহীত হইল। বঙ্গীয় ১৩১১ সনের ১ম সংখ্যা সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় রঘুনাথ শিরোমণি প্রবন্ধ আমরা প্রকাশ করিয়াছিলাম, তাহা হইতেও কোন কোন স্থল উদ্ধত হইবে।