পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় । ] ইটার রাজাপ প্রতিভাও মলিন হইয়া পড়িত, এই অল্প বয়স্ক ছা বন विशाँउ वैकछत्र মহাপ্রভু। ইহার সম্পর্কে এস্থলে দুইএকটি কথা লিপি, লগনী পবিত্র করিতেছি। ! শ্ৰীহট্ট ভূমি বৈষ্ণব প্রস্থতি। শ্রীহট্টের ইহা পরম সৌভাগ্য যে, বঙ্গ वैश्छेत्र দেশের গৌরবস্তম্ভ স্বরূপ মহাপুরুষগণ এই ঢাকাদক্ষিণ । শ্ৰীহট্ট ভূমেই প্ৰাদুৰ্ভত হইয়াছিলেন। ঐহটের মধ্যে ঢাকাদক্ষিণকে পুণ্যভূমি বলিতে আপত্তি নাই ; এক সময় কুমরিকা অন্তরীপ হইতে হিমালয়ের পাদদেশ পৰ্যন্ত এবং শ্ৰীহট্ট হইতে গুজরাট পৰ্যন্ত যাহার প্রেমহিরোলে প্রকম্পিত হইয়াছিল, সেই ঐচৈতন্ত মহাপ্রভুকে এই ঢাকাদক্ষিণের স্ত্রবিগ্ৰহ বলিয়া গৌরব করিতে আমাদিগকে কেহ বারণ করিতে পরিবে না । আমরা বংশ ও জীবন বৃত্তান্ত ভাগে শ্ৰীচৈতন্য মহাপ্রভুর পবিত্র গুণগাথা গান করিব বলিয়া স্থির করিলেও এস্থলে বলা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না, এই শ্ৰীহট্ট র্তাহার পিতৃ ও মাতৃ ভূমি । পিতা জগন্নাথ মিশ্র শ্রীহট্টের ঢাকাদক্ষিণে এবং মাতা শচীদেবী জয়পুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। 輸 “শ্ৰীবাস পণ্ডিত আর শ্রীরাম পণ্ডিত । শ্ৰীচন্দ্রশেখর দেব ত্ৰৈলোক্য পূজিত । ভবরোগ নাশ বৈদ্য মুরারি নাম যার । শ্ৰীহট্টে এ সব বৈষ্ণবের অবতার ॥” —চৈতন্য ভাগবত । এই উদ্ধৃত পদ্যে যে সকল মহাত্মার নাম দৃষ্ট হইতেছে, তন্মধ্যে এক মুরারি গুপ্ত ব্যতীত আর সকলই ঢাকা দক্ষিণ-বাসী ছিলেন ; কেবল ইহারাই নহেন, চৈতন্য ভাগবতেই লিখিত রহিয়াছে :– ‘রত্নগর্ত আচাৰ্য্য বিখ্যাত তার নাম । প্রভুর পিতার সঙ্গে জন্ম এক গ্রাম। তিন পুত্র তার কৃষ্ণ-পদ-মকরন্দ । কৃষ্ণানন্দ, জীব, যদুনাথ কবিচন্দ্র ॥”