পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । ।। २खiः २ग्न *ः கா 粤 জ্যোতি স্তত্ত্বের সংক্রান্তি গণনায় বলিয়াছেন। যথা :– ‘নবাষ্ট শক্রহীনেন শকাবাস্তেন পূরিত ' এতদ্বারাও ১৪৮৯ শকে জ্যোতিস্তত্ব লিখিত হওয়া দৃষ্ট হয়। 'মলমাস তত্ত্বে’ স্বপ্রণীত গ্রন্থের ক্রমনির্দেশে তিনি লিথিয়াছেন, যথl ঃ—‘জ্যোতিষে বাস্ত যজ্ঞকে, দীক্ষায়াং আহিকে কৃত্যে’ ইত্যাদি। ইহাতে জ্যোতিস্তত্ত্বের পর আহ্নিক তত্ত্ব বিরচিত হওয়া দৃষ্ট হয়। রঘুনন্দনের গ্রন্থ লিখিত হওয়ার পর ২০২৫ বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পূৰ্ব্বে যে তাহ সাধারণ্যে প্রচলিত হইয়াছিল, এমন অনুমান করা যাইতে পারে না।” h “মহেশ্বর ন্যায়ালঙ্কার স্বপ্রণীত ‘জ্যোতিঃপ্রদীপ এবং ‘আহ্নিক প্রদীপে রঘুনন্দনের মত গ্রহণ করিয়াছেন। ইহা হইতে স্পষ্টতঃই শকাব্দ ষোড়শ শতাবীর মধ্য বা শেষভাগে ঐ সকল গ্রন্থ প্রণীত হওয়ার অনুমান হয়। মহেশ্বরের পরবর্তী তদ্বংশীয় তারানাথ ভট্টাচার্য্যের প্রদত্ত বংশপত্রের সহ সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া আমরা শকাব ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমভাগে মহেশ্বরকে দেখিতে পাই ।” “অতএব খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রাচুর্ভত শিরোমণি ও খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমে প্রাদুর্ভ ত মহেশ্বরের মধ্যে শতাধিক বৎসরের ব্যবধান দৃষ্ট হয়। এমতাবস্থায় তাহারা পরস্পর সহোদর ছিলেন, কোন প্রকৃতস্থ ব্যক্তি কি একথা বলিতে পারেন ?” o “প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে সমসাময়িক পণ্ডিতগণের মধ্যে একে অন্যের মত গ্রহণ পূর্বক সমালোচনা করিবার রীতি থাকা দৃষ্ট হয় না। মহেশ্বর ন্তায়ালঙ্কার শিরোমণির ভ্রাতা হইলে রঘুনন্দন ও শিরোমণি উভয়ই র্তাহার সমসাময়িক হন। কিন্তু তাহার গ্রন্থে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচার্ঘ্যের মত উদ্ধৃত করিয়া সমালোচনার কথা বলিয়াছি ; তিনি স্বপ্রণীত সিদ্ধান্ত প্রদীপে ‘অত্র শিরোমণিঃ’ । লক্ষণং পরিষ্ক ত্যাহশিরোমণি' বলিয়া শিরোমণির মতও গ্রহণ করিয়া গিয়াছেন । এতদ্বারা শিরোমণি, মহেশ্বরের সমসামরিক না থাকা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় ।” "ভারত প্রসিদ্ধ শিরোমণি, মহেশ্বরের জ্যেষ্ঠ সহোদর হইলে এই প্রণালীতে ওঁtহার মত গ্রহণের কোনই কারণ ছিল না । সম্পর্কিত পণ্ডিতগণের মধ্যে