পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা । ] সপ্তম অষ্টম অধ্যায়ের টীকা । » ጫቑ ـصد قضـ প্রাচীনকালে মত গ্রহণের যে রীতি ছিল, তাহার উদাহরণ স্বরূপ ‘সাহিত্য-দৰ্পণ হইতে নিম্নলিখিত পংক্তি নিচয় উদ্ধৃত করা গেল, যথা – ‘মম তাত পাদানাং মহাপাত্র চতুর্দশ ভাষা বারবিলাসিনী ভুজঙ্গ মহাকবীশ্বর ঐচন্দ্রশেখর সন্ধি বিগ্রাহিকলং। ঐরপ গোস্বামী, তদীয় অগ্রজ সনাতন গোস্বামীর বাক্য এইরূপই সন্ত্রম স্থচক ভাবে উদ্ধৃত করিয়াছেন।” “এই সকল কারণ ও প্রমাণবলে নিঃসন্দেহরূপে বলা যাইতে পারে যে, শিরোমণি মহেশ্বরের সহোদর ছিলেন না, এবং তাহদের মধ্যে এই প্রকার { সম্বন্ধ কখনও সম্ভবপর নহে।” (—আনন্দবাজার পত্রিকা—১৩৩৷১৩১৪ বাং ) মহেশ্বরের জীবনকাহিনী এই গ্রন্থের স্থানান্তরে কথিত হইবে, তিনি কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রীয় ব্রাহ্মণ, মহেশ্বর হইতে তদ্বংশে বর্তমানে সপ্তম পুরুষ চলিতেছে, ইহাতেও তাঁহাকে শিরোমণির ভ্রাতা নির্দেশ করা যাইতে পারে না। রঘুনাথ শিরোমণি কাত্যায়ন গোত্রীয় ছিলেন বলা গিয়াছে ; কাজেই শিরোমণির সহিত মহেশ্বরের সহোদর সম্পর্ক থাকিতে পারে না ১৩০৯ বঙ্গাব্দের বান্ধব পত্রিকার ২০৮ পৃষ্ঠার ফুটনোটে ও ১৩১• বঙ্গাব্দের আশ্বিন-কাৰ্ত্তিক সংখ্যা বান্ধবের ২৭১ পৃষ্ঠায় শিরোমণিকে স্পষ্টতঃ পূৰ্ব্ববঙ্গের লোক বলা হইয়াছে। বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস দ্বিতীয় ভাগে র্তাহাকে শ্ৰীহট্টবাসী বলা গিয়াছে। ১৩১১ বঙ্গাব্দের ‘বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় শিরোমণি সম্বন্ধে দুইটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, দ্বিতীয় প্রবন্ধের লেখক শ্ৰীযুক্ত পূর্ণচন্দ্র দে উদ্ভট-সাগর শিরোমণিকে নবদ্বীপের রত্নখণি উদ্ভূত মহামণি বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। অল্পদিন হইল, উদ্ভট-সাগর মহাশয়ের সহিত কোনও শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধুর এই বিষয়ে আলাপ কালে, শিরোমণির জন্ম স্থানের প্রকৃত পরিচয় তিনি জ্ঞাত নহেন বলিয়াই প্রকাশ করেন। ফলতঃ “নবদ্বীপ নিবাসিনঃ” ইতি উদ্ভট শ্লোকের ভাবার্থেই তিনি শিরোমণিকে নবদ্বীপ-নিবাসী বলিয়া থাকিবেন । পণ্ডিত প্রবর গদাধর তাঁহাকে “কাত্যায়ন খণিজমণি' বলিয়াছেন, কাত্যায়ন