পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত। [ २भ्र छ}: २ध्र:शं: ফকিরের এই অদ্ভূত কর্ঘ্যে রাজা আশ্চর্যাম্বিত হইলেন, তাহার দৈৰ প্রভাবে তৎপ্রতি শ্রদ্ধা জন্মিল ; তিনি তাহাকে বহু ধন দান করিতে চাহিলেন। । সেলিম উদ্দীন ধন গ্রহণ করিলেন না; তবে ধৰ্ম্ম সাধনার জন্য এক তীরক্ষেপ পরিমিত ভূমি ( ধনু হইতে তীর ক্ষেপনে যথায় তীর পতিত হয়, তদন্তর্বর্তী ভূমি) মাত্র চাহিয়া লইলেন, সেই স্থান তদবধি "তীরপাশা” নামে খ্যাত হইল, এবং ব্যাঘ্রকে ষে স্থানে আবদ্ধ করা হয়, সেই স্থান “আসম রায়ের বেড়ী” নামে কথিত হইয়া থাকে । ইহার পর, একদা আসম রায় রজনীযোগে নিদ্রা যাইতেছিলেন, তিনি দেখিতে পাইলেন যে, তাহার গৃহ-বৰ্ত্তিকা যেন জীবন্ত ভাবে গমন করিতেছে ; যাইতে যাইতে সেই প্রদীপ সেলিম উদ্দীনের গৃহে গিয়া উপস্থিত হইয়াছে। এ কি স্বপ্ন ? ইহা ত প্রত্যক্ষবং বোধ হইতেছে ? আসম রায়ের মনে এক নব ভাবের উদয় হইল ; তিনি তখনই গাত্ৰোখান করিয়া সেলিম উদ্দীনের গৃহদ্বারে উপস্থিত হইলেন। "এত রাত্রে রাজা গৃহদ্বারে কেন ?”—আসম রায় বলিলেন—“ফকির, দেখিলাম, আমার গৃহ-বৰ্ত্তিক স্বয়ং তোমার গৃহে আগমণ করিয়াহেঁ! কথাটার মৰ্ম্ম কি,—বুঝিয়াছি —আমার রাজ্যশ্ৰী তোমারই গৃহাগত—আমি রাজ্যভ্রষ্ট হইব। অতএব আমি আর এ রাজ্যে থাকিব না, ইহা তোমারই হইল।” রাত্রি প্রভাতে আর কেহই আসম রায়কে দেখিতে পাইল না। প্রথমতঃ তিনি ত্রৈপুর রাজধানী গমনে ইচ্ছুক হন, কিন্তু পরক্ষণেই সে ইচ্ছা পরিত্যাগ পূর্বক কাণিশালিতে নিজ মাতুলালয়ে উপস্থিত হইয়াছিলেন। আসম রায় একাকী রাজ্যত্যাগে চলিয়া যান ; তাহার স্ত্রী কনক রাণী, যুবরাজ কালী রায় এবং রাজকন্য। তাহার অনুগামী হইতে পারেন নাই। আসম রায়ের প্রস্থান সংবাদ প্রচারিত হইলে যুবরাজ সিংহাসনাধিকারের চেষ্টা করেন, কিন্তু সেলিম উদ্দীনই রাজ্যের অধিকারী হন। তবে কণক রাণীকে তিনি কতক পরিমাণে ভূমিদান করেন। কণক রাণী তথায় এক নূতন বাড়ী প্রস্তুত ক্রমে বাস করেন, কণক রাণীর নামানুসারে তাহার প্রাপ্ত স্থান “কাণিহাট" । কণকহাটী) নামে খ্যাত হয়। কণক রাণীর