পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম অধ্যায় । ] ইটার বিবিধ কথা । .داد বাড়ী ও দীর্ঘী আজ পর্য্যন্ত তাহার নামেই (কাণীরবাড়ী, কাণীয় দীর্ঘী বলিয়া ) পরিচিত হইয়া আসিতেছে । ■ সেলিম উদ্দীন স্বীয় পুত্র দৌলত মালিক সহ মন্ত্র নদীর পশ্চিম তটে বাড়ী প্রস্তুত ক্রমে বাস করেন, তথায় তাহার কবর ছিল, পরে মনুগৰ্ত্তে পতিত হয় । শাহ সেলিম উদ্দীনের কয়েক পুত্র ছিলেন, এক পুত্রের বংশ কাণিহাটীর চৌধুরীগণ। লংলার কৌল নিবাসী চৌধুরীগণ র্তাহার অপর পুত্রের বংশজাত। . র্তাহদের কথা পশ্চাৎ ( বংশ-বৃত্তান্ত খন্ডে ) উক্ত হইবে। ইটার রাজা সুবিদ নারায়ণের যে বিবরণ বলা হইয়াছে, তাহার পরবর্তী ইটার দেওয়ান ঘটনার মধ্যে ইটার দেওয়ানগণের কথাই ও কানুনগোগণ বিশেষ উল্লেখ যোগ্য । মোসলমান আমলে গুণের আদর ছিল, উপযুক্ত হিন্দুগণও উচ্চপদে নিয়োজিত হইতেন । এমন কি, দেশের সর্ব প্রধান শাসনকৰ্ত্ত ও সেনাপতির পদ ও হিন্দুগণ লাভ করিতে পারিতেন। সীমান্ত দেশ শ্ৰীহট্টেও তাহার ব্যভিচার হয় নাই, নবাব হরকৃষ্ণ ও সেনাপতি হরদয়াল তাহার উদাহরণ। মোসলমান আমলে যে সকল শ্রীহট্টবাসী হিন্দু উচ্চপদে আরূঢ় ছিলেন, তন্মধ্যে ইটাবাসী অর্জুন বংশীয় কানুনগোগণ ও সম্পদ সেন এবং শ্যাম রায় দেওয়ানেরও নাম কর। যাইতে পারে। ইটার কানুনগোদের মধ্যে রতিরাম খ্যাত নামা ব্যক্তি। রতিরাম নন্দউড়া গ্রামবাসী অর্জন বংশীয় প্রসিদ্ধ ব্যক্তি । ১৬৮৯ খৃষ্টাব্দের (২২ সাবান ১৭৯৯ পরগণাতীত সনে * ) লিখিত একখানি দলিলে দুষ্ট হয় যে, যখন কানুনগো পদের ক্ষমতা হ্রাস করা হয় নাই, সেই সময়ে রতিরামের অতি বৃদ্ধ প্রপিতামহ ইটার কানুনগো ছিলেন, তৎপরে তাহার পুত্র দিগম্বর ঐ পদ লাভ করেন, দিগম্বরের মৃত্যুতে র্তাহার ভ্রাতুষ্পুত্র পরমানন্দ ঐ পদের

  • শ্রীহট্ট অঞ্চলের প্রাচীন কোন কোন দলিল পত্রে "পরগণাতীত” নামে এক অব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়, এই অব্দ বঙ্গাব্দের তিন বৎসর মাত্র অগ্রগামী ছিল।
                        ৩৪