পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিজাত দ্রব্য ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । २é ( শাক সজি । ) শ্ৰীহট্ট জিলার উর্বর ভূমিতে সৰ্ব্বপ্রকার শাক সজিই প্রচুরক্ষপে উৎপন্ন হয়। ইহার মধ্যে গোলআলুই প্রধান। গোল আলু জয়ন্তীয়া, ভোলাগঞ্জ ও তরফ প্রভৃতি স্থানে বহু পরিমাণে জন্মে। বেগুণ সৰ্ব্বত্রই জন্মে, তবে লংলার বেগুণ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ও প্রসিদ্ধ। মূলক বা মূল সৰ্ব্বত্রই জন্মে, তবে তরফের মূল সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট। তরফের গোলগাও নামক স্থানে প্রচুর পরিমাণে উত্তম মূল উৎপন্ন হয়। শ্ৰীহট্ট ও জলঢুবের কচুরমুখী উৎকৃষ্টতর। প্রতাপগড় ও লংলা প্রভৃতি স্থানে কুকিরমুখী (pulp) ক্রয় করিতে মিলে । ইহার এক একটা ১০।১৫ সের পর্য্যন্ত ওজনের হইয়া থাকে। কচুর মুড়া (মূল ), মানকচু, ও ওলকচু সৰ্ব্বত্রই পাওয়া যায়। বিবিধ রকম উরি’ ( সীম ), মিঠা লাউ, পানিলাউ, কুমড়া ( কুষ্মাণ্ড ) বহুলক্সপে সৰ্ব্বত্র জন্মে । oe তদ্ব্যতীত উদাইয়া (উচ্ছে ) ও করালা, কাকরোল ও কাকুরা, পুরল ও চিচিঙ্গা এবং ঝিঙ্গা ও ডেড়েশ তরকারির জন্য পাওয়া যায় । ( উদাইয়া ও করালা একজাতীয়, দ্বিতীয়টি আকারে বৃহৎ, এবং সাধারণতঃ কুকিয়া জুমে ফলাইয়া থাকে। কাকরোল ও কাকুরাও এক জাতীয় এবং দ্বিতীয়টি বৃহত্তর। এই দুইটিকে বন্ত তরকারি, বিশেষ বোধ করা অসঙ্গত নহে। চিচিঙ্গা অতিশয় লম্বা হইয়া থাকে । ) শাকের মধ্যে নালিশাক, নটে বা ডেঙ্গাশাক, লাইশাক (সর্ষপ জাতীয় ) প্রধান। ক্ষুদ্র শাক ও পালইশাক টিলাভূমের সন্নিকটে স্বভাবজাতরূপে পাওয়া যায়। অমরসাত্মক খুঙ্গাশাক (টকপালং), সলিফা শাক সৰ্ব্বত্রই পাওয়া যায়। গন্ধিডাটা ( গন্ধমাতৃকের ডাটা ), রামকলার থোড়, ও করিল (সংস্ক,ত করির বা বাশের কচি অন্ধুর ) কোন কোন স্থানে পাহাড় হইতে সংগৃহীত হইয়া উপাদেয় তরকারিরূপে ব্যবহৃত হয়। কপি, শালগম, বিট, গাজর প্রভৃতি অনেক লোকে সযত্নে উৎপাদন । করেন ।