পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [২য় ভা: ২য় খ:


খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগে মীর্জা মালিক মোহাম্মদ তোরাণী গৃহ

 মালিক মোহাম্মদ
 ও  পোড়া রাজা।  বিবাদে উত্যক্ত হইয়া পারস্য পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ভাগ্য পরিক্ষার্থ হিন্দুস্থানে আগমন করেন। দিল্লীতে তিনি কোন সুবিধা করিতে ন পারিয়া পূৰ্ব্ববঙ্গাভিমুখে আগমন পূর্বক নববিজিত "তিন শ ষাট আউলিয়ার মুলুক” শ্ৰীহট্টের দেওরালি নামক স্থানে উপস্থিত হন ।

তৎকালে দেওরালির অধিকাংশ স্থল পোড়ারাজা নামক ত্রিপুরা বংশীয় জনৈক ব্যক্তির অধিকারে ছিল ; পোড়ারাজা ত্রৈপুর রাজগণের সামন্ত স্বরূপ ছিলেন । মীর্জা মালিক মোহাম্মদ নিজ অনুচরগণ সহ যখন তত্ৰত্য নদীর সন্নিকটে উপস্থিত হন, তখন দেখিতে পাইলেন যে দাসীগণ পরিবৃতা এক রূপবর্তী যুবতী স্নানার্থ নদীতে আগমন করিয়াছেন। যুবক তোরাণী যুবতীর লাবণ্যে মোহিত হইলেন ও তাঁহাকে কোন বড় ঘরের মেয়ে বলিয়া বুঝিতে পারিয়া বিবাহের ইচ্ছা করিলেন । পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুর জাতীয় হইলেও পোড়ারাজা বাঙ্গালীর সংস্রবে হিন্দু ধৰ্ম্মে বিশেষ আস্থাবান হইয়াছিলেন, হিন্দু ব্যবহার দৃঢ়তার সহিত পালন করিতেন । তিনি স্বেচ্ছায় যবন করে কন্যাদান না করিয়া তাঁহাকে অপমানিত করিলেন।নির্ভীক মোসলমান যুবক ইহা সহ্য কবিতে পারিলেন না, সামান্য কয়েকটি অনুচর লইয়াই পোড়ারাজার বাড়ী আক্রমণ করিলেন। অঙ্গুলি-নির্দেশ-যোগ্য মুষ্টিমেয় হইলেও সেই কয়েকটি সুশিক্ষিত মোসলমান ত্রিপুরাদিগকে পরাভূত করিল। পোড়ারাজা নিরুপায় হইয়া মালিক মোহাম্মদের অনুগ্রহ ভিখারী হইলেন। পোড়ারাজার পুত্র সন্তান ছিল না, তিনি কন্যা উমার সহিত আগন্তুককে স্বরাজ্য প্রদান করিলেন। পোড়ারাজার সহিত । ত্রৈপুর রাজবংশীয়ের রাজ্যস্মৃতি তথা হইতে বিলুপ্ত হইল। অদ্যপি তথায়