পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ অধ্যায়। ] প্রতাপগড়ের হিন্দু নবাব R A A -o না দেখিয়া যুগীয়ানা গিলাপ বস্ত্রে প্রভুকে দৃঢ়রূপে পৃষ্ঠদেশে বন্ধন করিল এবং তখনই সেই শ্বাপদ সঙ্কুল ভীষণ অরণ্যের গাঢ় অন্ধকারে অদৃপ্ত হইয়া গেল। সে তখন উন্মত্ত, হাতে উলঙ্গ অসি, পৃষ্ঠে প্রভু ; সে পশ্চিম মুখে দৌড়িতে দৌড়িতে প্রতাপগড়ের জমিদার গৃহে আসিয়া পৌছিল। এ দিকে চৌধুরীকে না দেখিয়া রাধারামের লোক তন্ন তন্ন করিয়া চতুৰ্দ্দিক অন্বেষণ করিল, কিন্তু তাহাকে পাওয়া গেল না ; রাধারাম প্রমাদ । গণিলেন । রাধারামের প্রায়শ্চিত্তের সময় উপস্থিত হইয়াছিল ; কাল পূরিয়া গিয়াছিল ; রাধারামের নতুবা তিনি ইচ্ছা পূৰ্ব্বক কেন মিত্রকে শত্রু পরাজয় । জ্ঞান করিবেন, ও তাহাকে যথার্থ শত্রু রূপে পরিণত করিবেন ? এই সময় গবর্ণমেণ্ট পক্ষেও রাধারামের দমন উদ্দেশ্যে বিবিধ তথ্য সংগৃহীত হইতেছিল ; কাহরাম চৌধুরী পর দিবসেই তাহাদের সহিত সাক্ষাং করিলেন ও যেরূপে আত্মরক্ষা করিতে পারিয়াছেন, যেরূপে রাধারামকে । অনায়াসে ধৃত করা যাইতে পারে, তাহা বলিয়া দিলেন। সেই প্রথম চরগোলা প্রবেশের স্থল পথের সন্ধান পাইয়া ইংরেজ সৈন্য রাধারামকে ধৃত করিতে ধাবিত श्ल । এবার রাধারামের সমস্ত গৰ্ব্ব খর্ব হইল, সমস্ত উদ্যোগ ব্যর্থ হইল ; বৃটিশ সৈন্তের বন্দুক বেওনেটের নিকট তীর বল্লমধারী কুকি সৈন্য তিষ্ঠিতে পারিল না। রাধারাম উপায়ান্তর বিহীন হইয়া সপরিবারে ছদ্মবেশে পলায়ন করিলেন। জয়মঙ্গল সামান্ত প্রজার বেশে তুতিপাখী শিকারের ভণে ভ্ৰমিতে লাগিলেন, কিন্তু অধিক দিন আত্মগোপন করিতে পারিলেন না, ধৃত হইলেন । সেনাপতি রণমঙ্গল তখন জীবিত ছিলেন না। রাক্তমঙ্গল প্রতাপগড়ের মাঠে ডোমের বেশে বেড়াইতে ছিলেন, তদবস্থায় ধৃত হন । রাধারাম ছদ্মবেশে কিছু দিন ছিলেন, পরে সিদ্ধেশ্বরের বারুণীতে ধৃত হন। তাহাকে লৌহপিঞ্জরে আবদ্ধ করিয়া শ্ৰীহট্টে পাঠাইয়া দেওয়া হয়।