পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ অধ্যায়। ] প্রতাপগড়ের হিন্দু নবাব । 3יכצ জয়মঙ্গলের পুত্র বিষ্ণুমঙ্গল প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। কুকিরাজ লাল চুকলার অধীন কয়েকটি সর্দার এক সময়ে প্রতাপগড়ের একস্থলে আপতিত হইয়া ১০৮টি নরমুণ্ড সংগ্ৰহ ক্রমে লইয়া যায়। বিষ্ণুমঙ্গল নরমুণ্ড সমেত ৫৬টি কুকি সর্দারকে ধরিয়া আনিয়া গবর্ণমেণ্টের হাতে সমর্পণ করিয়াছিলেন। কুকিরা যে স্থানের প্রজাদিগকে কাটিয়াছিল, ঐ স্থান । তদবধি "কাটাবাড়ী” নামে খ্যাত হয়। * ত্রিপুরার মহারাজ কৃষ্ণ কিশোর মাণিক্য মণিপুরের রাজবংশে এক বিবাহ করিয়াছিলেন। ত্রৈপুর রাজবংশীয় রামচন্দ্র ঠাকুর মণিপুর হইতে আগরতলা প্রত্যাবৰ্ত্তণ কালে বিষ্ণুমঙ্গল চৌধুরীর আতিথ্য গ্রহণ করেন। চৌধুরীর আতিথ্যে তিনি পরম পরিতুষ্ট হইয়া, মহারাজের সহিত সাক্ষাৎ করিতে র্তাহাকে পরামর্শ দেন। তদনুসারে বিষ্ণুমঙ্গল লোকজন সহ আগরতলায় গমন করেন। মহারাজ র্তাহাকে বিশেষ সন্ত্রম সহকারে, বাসের জন্য উত্তম স্থান নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন ; তাহার অনুসঙ্গী প্রত্যেক ব্যক্তিকে পচিশ টাকা করিয়া পুরস্কার এবং তাহার জন্য উপাদেয় দ্রব্য সমেত অশীতি মুদ্র মূল্যের ভেট প্রেরণ করেন। ঐ সময় রাজধানীতে ভীষণ ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব হওয়ায় ও তাহার অনুষঙ্গী কয়েকটি লোক ঐ ভয়ঙ্কর রোগে প্রাণত্যাগ করায় তিনি ভীত হইয়া প্রত্যাগমন করেন। মহারাজের সহিত সাক্ষাৎ হইলে সম্ভবতঃ র্তাহার অবস্থার পরিবর্তন ঘটিত ৷ জয়মঙ্গল চৌধুরীর মৃত্যুর পর গোলামরজা চৌধুরীও প্রাণত্যাগ করেন। গোলামরজার মৃত্যুর পর তদীয় পুত্ৰ আৰিদরজা ও আদমরজা চৌধুরী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হন। ইহঁর অহিফেন সেৰী ছিলেন। র্তাহারা যে সম্পত্তি প্রাপ্ত হন, তাহার পরিমাণ কম ছিল না। কিন্তু তাহারা সেই সম্পত্তি রক্ষা করিতে সমর্থ হন নাই ; একবারে নিঃশেষ করিয়া ফেলেন। পরে আবিদরজা চৌধুরীর পুত্র আলীরজা চৌধুরী, মৈনার চৌধুরীগণের কৰ্ম্ম স্বীকার করিয়া, কথঞ্চিংরূপে অবস্থার পরিবর্তন করিয়া গিয়াছেন। আলীরজ চৌধুরী বুদ্ধিমান ও স্বত্র পুরুষ ছিলেন, তাহার পুত্ৰগণ জীবিত আছেন। ঐহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ৫ম খণ্ড ৰ অধ্যায় দেখ। * \ob,