পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३२ ● শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । ।। २ङtः २ध्र र्थः वृह्ण==== প্রতাপগড়ের কাপাড়ীবন্দবাসী সাহু বংশীয়গণের পূর্ব পুরুষ নারায়ণ দাস প্রতাপগড়ের “রাজার” সেনাপতি ছিলেন, এখনও “নারাইণের বাড়ী” ও র্তাহার দীর্ঘীর চিহ্নাদি বৰ্ত্তমান আছে। প্রতাপগড়ের বিবরণ এই স্থলেই সমাপ্ত করা হইল। সমাপ্তি— গৌড়রাজ্যের বিবরণ অতি সজেক্ষপে লিপিবদ্ধ হইল। “সেেজক্ষপ”— কেনন। গৌড়ের অনেক বিবরণই বংশ-বৃত্তান্তের অন্তর্ভুক্ত হইবে। গৌড় শ্ৰীহট্টের অন্তর্গত খণ্ডরাজ্য সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিল ; তরফ, ইটা, কাণিহাট, প্রতাপগড় প্রভৃতি স্থানের যে সকল ভূস্বামী স্বতন্ত্রভাবে আধিপত্য করিতেন, তাহাদের অধিকৃত স্থানগুলিও এই গৌড়ের অন্তর্গত বিবেচিত হইত। মোসলমান শাসনকৰ্ত্তাদের সময়ে গৌড়ের ক্ষমতায় অনেক সময় লাউড় ও জয়ন্তীয়ার অধিপতিদিগকে সন্ত্ৰাসিত থাকিতে হইত। কমলা, গজদন্ত, ঢাল ইত্যাদি উৎপন্ন দ্রব্য দিল্লী প্রভৃতি স্থানেও সগৌরবে (শ্ৰীহট্টের ) গৌড়ের নাম ঘোষণা করিত। গৌড়ের শেষ হিন্দু রাজা গোবিন্দ, গৌড়ের নামযোগেই পরিচিত হইতেন। বহুকাল হইল, শ্ৰীহট্টের গৌড় অস্তিত্বহীন হইয়াছে ; গৌড় বলিয়া যে একটা স্থান শ্ৰীহট্টে ছিল, তাহ হয়তঃ এখন অনেকেই জ্ঞাত নহে, কিন্তু "গৌড় গোবিন্দ” বলিয়৷ এক পরাক্রান্ত রাজা শ্ৰীহট্টে ছিলেন, ইহা আজ পর্যন্ত শ্ৰীহট্ৰবাসী সকলেই জানে। এই গৌড়ের প্রাচীনত্ব ও বিস্তৃতি বিষয়ে অনেক আখ্যায়িকাই শ্রুত হওয়া যায়। যখন আধুনিক ত্রিপুরা ও ময়মনসিংহ জিলা গঠিত হয় নাই, যখন ত্রিপুরা প্রাচীন কমলাঙ্ক নামেই খ্যাত হইত এবং ময়মনসিংহ ক্ষুদ্র