পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\oe ভৌগোলিক বৃত্তাস্ত। [ ১ম ভাঃ ২য় অঃ।– AŃ mo জাই, বরুয়া, পেচা বৃহৎ জাতীয় বাশ। তন্মধ্যে বরুয়া সৰ্ব্বাপেক্ষ দৃঢ়। পেচা বণশ পাহাড় ব্যতীত অন্যত্র জন্মে না। জাই, বরুয়া এবং বেতো বণশ গ্রামাদিত জন্মে। বেতো বণশ পরিপক না হওয়া পৰ্য্যন্ত তদ্বারা বেতের স্তায় গৃহের চালার বন্ধনাদি কাৰ্য্য করা যায়। বণশকে চিরিয়া তন্দ্বারা বেত প্রস্তুত করিতে হয় । মূলিবাশ সাধারণ কাৰ্য্যে বহুল রূপে ব্যবহৃত হয়। থাং ও ডলু গৃহকার্য্যে (অর্থাৎ ঘরের চালের “রুয়া ও খাপ” প্রস্তুতে ) ব্যবহৃত হয়। জাই ও বরুয়াতে ঘরের খুঁটা হয়। করিমগঞ্জ সবডিভিশন ও লংলা প্রভৃতি স্থানে কচি ডলু বর্ণশের চোঙ্গা কাটিয়া তন্মধ্যে বিরণীর চাল ও জল ভরিয়া চোঙ্গার মুখ বন্ধ ক্রমে পোড়ান হয় । পোড়ান হইলে চালগুলি পঙ্ক হইয়া একরূপ পিষ্টক প্রস্তুত হয়। সাধারণতঃ পৌষ ও মাঘ মাসে এই পিষ্টক লোকে আগ্রহের সহিত ব্যবহার করে । বেতের মধ্যে গল্লা, জালি ও সুন্দি প্রভূতি নানারূপ বেত্র পাওয়া যায়। গল্লা বেত্র বৃহৎ জাতীয় এবং সুন্দি ক্ষুদ্র জাতীয় ; উৎকৃষ্ট স্বক্ষ কার্য্যে সুন্দিবেত ব্যবহৃত হয় । ছনের মধ্যে বড়লুথ ও উলু নামক ছন চালছাওয়ার কার্য্যে অধিকরূপে ব্যবহৃত হয়। যে স্থানে ছন উৎপন্ন হয়, তাহাকে “ছনের খলা" বলিয়া থাকে। বড়লুথা ছন পাহাড়ে জন্মে। নল ও মুর্ত পাহাড়ের পঙ্কিল স্থানে জন্মিয় থাকে। নল চিরিয়া চাটি ও মুর্তার বেত্র দ্বারা উৎকৃষ্ট পাটি প্রস্তুত হয়। সুনামগঞ্জের হাওরগুলির মধ্যে ও হবিগঞ্জের অনেক স্থলে (মকার হাওর, সৌলাগড় প্রভৃতি স্থানে) পঙ্কের নীচে (ভূগর্ভে) এক প্রকার অদ্ভুত উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়। অন্ত কোন দেশে এই প্রকার আশ্চর্য্য উদ্ভিদের কথা শুনা যায় না ; এই উদ্ভিদের নাম "কচম বৃক্ষ" । এই উদ্ভিদ শাখা পত্রাদি বিহীন । জলতলে পঙ্কের নিয়ে আৰক স্কুলাঙ্গ লতার স্তায় দীর্ষভাবে ইহা বৰ্দ্ধিত হয়। এক একটা সাধারণতঃ