পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●b" শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ २ श्न एठांः ७ ब्र ५: রহিয়াছেন। তিনিই সুদূর কোটালিপাড় হইতে শ্ৰীকৃষ্ণ তর্কালঙ্কারকে বাণিয়াচঙ্গে স্থাপন করেন। এই পদ্মনাভের একাদশ পুত্র হয়, তন্মধ্যে সুন্দরখ * জ্যেষ্ঠ ও গোবিন্দ খা কনিষ্ঠ। গোবিন্দ খা প্রবল প্রতাপান্বিত ছিলেন, এবং তিনিই রাজ্যাধিকার করেন। ইহঁর রাজ্যসীমা জগন্নাথপুরের রাজা জয় সিংহ (ওরফে গোবিন্দ সিংহ ) ও বিজয় সিংহের অধিকৃত ভূমি স্পর্শ করিয়াছিল। গোবিন্দ খ7, জয়সিংহ ( বা গোবিন্দ সিংহ ) ও বিজয় সিংহ পরস্পর সমসাময়িক ছিলেন। জয় ও বিজয় সিংহ গোবিন্দখণর ন্যায় প্রতাপশালী ছিলেন না ; যুদ্ধবিদ্যাপেক্ষ শাস্ত্রালোচনাই তাহাদের প্রীতিপ্রদ ছিল । * , লাউড়ের অধিপতির বংশ বিলোপ ঘটিলে, লাউড়ের অরক্ষিত প্রজাগণের উপরে খাসিয়ার অত্যাচার করিতে আরম্ভ করে ; প্রজাগণ এই বিপদ হইতে ত্ৰাণ পাইবার জন্ত,— নিজ ধন প্রাণ রক্ষার জন্ত প্রতাপাম্বিত বাণিয়াচঙ্গ পতির আশ্রয় প্রার্থনা করে । গোবিন্দর্থ তাহাদিগকে আশ্রয় দান করেন ও অনতিবিলম্বে সসৈন্তে লাউড়ে গমন পূৰ্ব্বক লাউড় অধিকার করেন। খাসিয়ারা পাহাড়ে আশ্রয় লইতে বাধ্য হয় গোবিন্দ খা লাউড় রক্ষার বিশেষ বন্দোবস্ত করেন, সত্বরেই তথায় কতকগুলি সৈন্ত রক্ষিত হয়। t, জগন্নাথপুরের ইতিহাস পুস্তিকায় লিখিত আছে যে, লাউড় ও জগন্নাথপুরের রাজবংশীয়দের মধ্যে রাজ্য অবিভক্তভাবে ছিল। দিল্লীদরবারে গোবিন ধী ও গোবিন্দ সিংহ ।

  • স্বনারখ জ্যেষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু গোবিন্দ পৈতৃক রাজ্য অধিকার করায় তিনি বঞ্চিত হন। এই সময় তিনি বাণিয়াচঙ্গ ত্যাগ করিয়া সম্ভবতঃ বেতকান্দি নামক স্থানে গিয়া থাকিবেন। তাহার বংশীয়গণ এখন বেতকালিতে অবস্থিতি করিতেছেন। বাণিয়াচঙ্গের কাত্যায়ন গোত্রীর সহ ইহঁাদের প্রবরের ঐক্য নাই। সম্ভবতঃ এই সময় ইহঁার প্রবর পরিবর্তন করিয়া, জগন্নাথ পুরের সমপ্রবর হইয়া থাকিবেন। বিবাদমূলে এইরূপ সম্বন্চ্ছেদের উদাহরণ গ্ৰহাট বিরল নহে । மு

计“ "গোবিন্দ ছিলেন শুধু জোরে বলবান । জয়সিংহ বিদ্যাবুদ্ধি উভয়ে প্রধান ৷”