[ २ञ्च त्रषTॉग्न । জগন্নাথপুরের কথা । ξέ আগমন করিয়াছিলেন বলিয়াও গুনা যায়। সে যাহা হউক, বিজয় সিংহের সময় দত্তবংশীয় প্রভাকর নামক একব্যক্তি আগমন করেন, জানা যায়। প্রভাকরের পুত্র শম্ভুদাসের বুদ্ধি প্রাখধ্যে তুষ্ট হইয়া বিজয় সিংহ তাৰাকে মন্বিত্ব প্রদান করিয়াছিলেন। বিজয় সিংহের পরে, শম্ভুদাসের পুত্র বিজয় রাম জগন্নাথপুরের দেওয়ান হইয়াছিলেন । বিজয় সিংহের সময়ে রাঘব ভট্টাচাৰ্য্য নামক ভরদ্বাজ গোত্রীয় জনৈক তপস্বী বিপ্র মিথিলা হইতে এদেশে আগমন করেন । ইহার গুণে মোহিত হইয়া বিজয় সিংহ তাহার নিকট দীক্ষিত হইয়াছিলেন। এই রাঘব পণ্ডিত বংশীয়গণ এখন শিক সোণাইত পরগণার সাচায়নী গ্রামে বাস করিতেছেন । কবি বল্লভের যত্বে বিজয় সিংহ ও হবিব খার বিরোধ ভঞ্জন হইয়া কিছুদিন শাস্তিতে অতিবাহিত হইল বটে, কিন্তু পরস্পরের মনো"*" মালিন্ত দূর হয় নাই। এইজন্যই কিছুদিন যাইতে না যাইতেই বিবাদানল পুনরুদ্দীপ্ত হইল। দুর্ভাগ্য ও দুদিন উপস্থিত হইলে, ভাল করিতে গিয়াও মন্দ ফল ভোগ করিতে হয় । বিবাদের চিরশাস্তির জন্য উভয় রাজ্যের সীমা চিহ্ণিত করিয়া লইতে বিজয় সিংহ সঙ্কল্প করিলেন । এই (রাজ্য বিভাগ) প্রস্তাবে হবিব খাও অসম্মত হইলেন না। স্থিরীকৃত হইল যে, এক নির্দিষ্ট প্রভাতে উভয়ে পরস্পরের রাজধানী অভিমুখে যাত্র। করিবেন, এবং উভয়ে একত্র সম্মিলিত হইয়াই রাজ্যসীমা নিৰ্দ্ধারণ করিবেন। নির্দিষ্ট দিবস উপস্থিত হইল, অঙ্গীকারানুসারে উভয়েই অনুচরবর্গ সহ যাত্রা করিয়া, একস্থানে সম্মিলিত হইলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ বিজয় সিংহের নির্দেশিত সীমা ন্যায়সঙ্গত না হওয়ায় হবিব খাঁ কুদ্ধ হইলেন ও অবজ্ঞা সহকারে তাহার শিবিক ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন। হবিব খার ঈদৃশ আচরণে বিজয় সিংহ মৰ্ম্মাহত হইলেন ও এই অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণ করিতে প্রতিজ্ঞা করিলেন। যে স্থলে বিজয়ের পান্ধী ভগ্ন হইয়াছিল, অস্তাপি ঐ স্থান “পান্ধী ভাঙ্গা” নামে কথিত হইয়া থাকে। 翰 এইরূপে বিবাদের স্বষ্টি হইল। হবিব খা বিজয় সিংহকে জাতিভ্রষ্ট করিতে কল্পনা করিলেন। প্রথমতঃ নিজপুত্রের সহিত বিজয় সিংহের কস্তার বিবাহ দেওয়ার কথা উপস্থিত করিলেন । ৰিজয় সিংহ হবিব খার অভিপ্রায়
