পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૭ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २ं प्ठः ७ध्रे षः । বুঝিতে পারিয়া একবারে জলিয়া উঠিলেন ও তদীয় সৰ্ব্বনাশ সাধর্মের উপায় অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। তিনি প্রকাশ্যভাবে হঠাৎ হবিব খার বিরুদ্ধে দাড়াইলেন না ; ( দুৰ্ব্বলের বল) কৌশল অবলম্বনে, চাতুৰ্য্যজাল বিস্তার করিয়া বীরবরের অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কিছুদিন মধ্যেই তিনি মৌখিক ভালবাসা প্রদর্শনে হবিব খাকে তুষ্ট করিলেন। সরলতা বীরপুরুষদের এক লক্ষণ । হবিব খা বিজয়ের কুটিলতা অনুধাবন করিতে পারিলেন না। কিয়দিবসান্তে একদা বিজয় সিংহ পূৰ্ব্বোক্ত বিবাহ প্রসঙ্গ উল্লেখে হবিব খার পুত্র (প্রস্তাবিত জামাতা) মজলিস আলমকে নিমন্ত্রণ করতঃ নিজগৃহে আনয়ন করিলেন ও (নিজ সঙ্কল্পানুসারে) হবিব খার বংশ-বিলোপ করার মানসে র্তাহার গুপ্ত হত্যার উপায় করিতে লাগিলেন । অনিন্দ সুন্দর আলমের রূপে দর্শক মাত্রেই মোহিত হইত, বিজয় তনয়াও র্তাহাকে দেখিয়াছিলেন । আলম নিশ্চিত নিহত হইতেন, যদি দয়াবতী বালিকা তাহাকে আগু বিপদ্বাৰ্ত্ত না জানাইতেন, যদি রাত্রে তাহাকে পলাইরার পরামর্শ না পাঠাইতেন। নৌকাযোগে পলায়ন করাই স্থির হইল। যে খাল দিয়া তাহার অনুচর শুধু বৈঠাযোগে নৌকা চালাইয়৷ আলমকে লইয়া গলায়ন করে, তাহাই উত্তরকালে “বৈঠাখালি” নামে খ্যাত হইয়াছে। পুত্র প্রমুখাৎ হবিব খাঁ এই ভয়ানক বিশ্বাসঘাতকতার কথা শুনিয়া ক্রোধে ক্ষিপ্ত প্রায় হইলেন । বিজয় সিংহও অতি সস্তপণে জগন্নাথপুরের আত্মরক্ষা করিতে লাগিলেন। কিন্তু কিছুতেই পতন । তিনি হবিব খার ভীষণ রোষবহ্লি হইতে আত্মরক্ষা করিতে সমর্থ হইলেন না। একদা বিজয়সিংহ সন্নিকটবৰ্ত্তী বনে স্বজন ও সৈন্ত পরিবৃত হইয়৷ মৃগয়ায় বহির্গত হন । হবিবের গুপ্তচর সর্বত্রই ফিরিত, সেই মৃগয়া-কাননে গুপ্তঘাতকের হন্তে মৃগের পরিবর্তে সেদিন এক শোকাবহ রাজহত্যা হইয়া গেল ! বিজয়সিংহ নিহত হইলেন। বিজয়-গৃহে হাহাকার ধ্বনি উত্থিত হইল। সেই সময় হবিব খার সৈন্যগণ জগন্নাথপুরে উপস্থিত হইয়। রাজবাট লুণ্ঠন করিতে লাগিল। বিজয়ের পুত্র রাজবল্লভ সিংহ ( নামান্তর প্রতাপসিংহ )