পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసి ভৌগোলিক বৃত্তান্ত। [ ১ম ভাঃ ২য় অঃ — করিয়া পাওয়া যায়। যখন যে শস্ত পঙ্ক হয়, তখনই তাহ সংগৃহীত হইয়৷ থাকে। ধান্ত সাধারণতঃ শ্রাবণ মাসে এবং কার্পাস ও তিল আশ্বিন মাসে সংগৃহীত হয়। তিলের গাছ কাটিয়া তিল সংগ্রহ করা হয় না, তিল পাকিলে বস্ত্রখণ্ড নীচে ধরিয়া ; তাহার উপরে গাছ ঝাড়িয়া দেওয়া হয় মাত্র। বলা বাহুল্য যে ইহাতে অনেক অপচয় হয় ও অনেক তিল গাছে থাকিয়া যায়। পূৰ্ব্বোক্ত শস্ত ব্যতীত লাউ, কুমড়, পেয়াজ ও কচুরমুখী জুমে ফলিত হয়। জুমের লাউ, কুমড় ও কচুরমুখী ইত্যাদি অতি উত্তম, কিন্তু ধান্ত সুখাদ্য নহে। কচুরমুখী এক একটা খুব বড় হয়, দেখিতেও সুন্দর। লুসাই জাতি তদ্বারা একরূপ পিষ্টক প্রস্তুত করিয়া ভক্ষণ করে । * দীর্ঘকাল এক স্থানে জুম করিলে ভাল ফসল হয় না বলিয়া, দুই বৎসর কাল এক এক স্থানে জুম করার প্রথা দেখা যায় । দুই বৎসরান্তে জুমের জন্য নুতন স্থান নিৰ্দ্ধারিত হয়। জুমের স্থান এইরূপে দূরে চলিয়া গেলে পুঞ্জি বা পাড়ার লোকও তথায় উঠিয়া গিয়া নুতন পুঞ্জি স্থাপন করে। কারণ ফসলের সময় প্রায়ই জুম পাহারা দিতে হয়। ( চার চাষ । ) চ৷ এক জাতীয় চারা বৃক্ষের পত্র। প্রথমে রৌদ্রে শুষ্ক, তৎপর অগ্নি তপ্ত করতঃ ব্যবহারোপযোগী করিয়া লইতে হয় । ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে আসামে সৰ্ব্বপ্রথম বন্য চা বৃক্ষ পাওয়া যায়। তাহাতে আসামের ভূমি চ আবাদের পক্ষে উপযোগী বিবেচিত হইলে, ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মীপুরে সর্বপ্রথম এক চা বাগান প্রস্তুত করা হয়। শ্ৰীহট্টে চা-র চাষ হইতে পারে কি না, অনুসন্ধান চলিলে ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে শ্ৰীহট্টের জঙ্গলেও স্বভাব জাত চা বৃক্ষসমূহ প্রাপ্ত হওয়া যায়। তৎপর নর্থ সিলেট টি কোম্পানী” স্থাপিত হইয়া, ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে “মালনী ছড়া চা বাগান” নামে একটি চা ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। ইহার পর হইতেই শ্ৰীহট্টে ক্রমশ: চার চাষ বৰ্দ্ধিত হইতেছে। ইংরেজ কোম্পানীগণই সাধারণতঃ চার চাৰ করিয়া থাকেন। ঐহট