পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\b শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २झ उiः 8 ँ वँः ജl-ജ= = ബ് ബ് -پیسے= -ع = -- বা গোসাঞি শব্দ রাজপরিবার ও রাজকৰ্ম্মচারীদের মধ্যে ব্যবহৃত। পৰ্ব্বত রায়ের পরবর্তী রাজার নাম মাঝ গোসাঞি। আসাম অঞ্চলের প্রথানুসারে তিনি এই উপাধি ধারণ করিয়া থাকিবেন। পূৰ্ব্বোক্ত হিসাবানুসারে তাহার শাসনকাল ১৫১৬ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৩২ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বলিতে হইবে। মাঝ গোসাঞি ও তৎপরবর্তী রাজা বুড়াপর্বতরায়ের বিষয় কিছুই জ্ঞাত হওয়া যায় না ; ইহার শাসনকাল গেইট সাহেবের অনুমান মতে ১৫৩২ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৪৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত । ইহঁাদের পরবর্তী বড় গোসাঞি ধৰ্ম্মানুরাগী রাজা ছিলেন ; তিনি সম্ভবতঃ ১৫৪৮ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫৬৪ খৃষ্টাব্দ পর্ষ্যস্ত জয়ন্তীয় রাজ্য শাসন করিয়া গিয়াছেন । যে মহাপীঠের জন্য জয়ন্তীয়া জন-সাধারণের নিকট পবিত্র তীর্থরূপে পূজিত, পূৰ্ব্বতন হিন্দুরাজত্বের সহিত যাহা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল ; এই ধৰ্ম্মাকুরাগী রাজার রাজত্বকালে সেই মহাপীঠ পুনঃ প্রকাশিত হয়। পীঠপ্রকাশ প্রসঙ্গে সে বিষয় স্থানান্তরে বর্ণিত হইয়াছে । * কয়েকটি বালকের ক্রীড়ামূলে জঙ্ঘাকৃতি এক প্রস্তরখণ্ডে ভৈরবীর অধিষ্ঠান প্রকটিত হয়। রাজা নিজ গুরু জনৈক তান্ত্রিক সিদ্ধপুরুষসহ সেই স্থানে উপনীত হইয়া, দেবীকে রাজধানীতে আনয়ন করিতে সচেষ্ট হন। রাজাদেশে খনকের খনন করিতে আরম্ভ করিলে পার্শ্বোথিত ভূরি পরিমাণ বালুকায় গর্তটি পুরিয়া যাইতে লাগিল। পুনঃ পুনঃ চেষ্টা করিয়া অকৃতকাৰ্য্য হইলেন, তাহ দৈব অভিপ্রায়ে সংঘটিত হইতেছে ভাবিয়া, রাজা সেই উদ্যমে ক্ষাস্ত হইলেন ও সেই স্থান সুচারুরূপে বাধাইয়া দিলেন। অনতিবিলম্বে চতুর্দিক প্রাচীরে বেষ্টিত হইল এবং প্রাচীরের গায় সহস্র প্রদীপ প্রজালনের ব্যবস্থা থাকিল ও নিয়মিত পূজা পরিচালনের সুবন্দোবস্ত হইল। পরে ভৈরবের অনুসন্ধানে এ স্থানের উত্তরে এক শিব আবিষ্কৃত হন, প্রকাশক রাজগুরু সেই সিদ্ধ ব্রাহ্মণের নামানুসারে তৎপূজিত সেই শিব “রূপনাথ” বলিয়া খ্যাত হইলেন। অনেকের মতে এই রূপনার্থই বামজজঘা পীঠের ভৈরব । মাঝ গোসাঞি ও বুড়াপর্বতরায় । বড় গোসাঞি ও মহাপীঠ ।

  • জীহট্টের ইতিবৃত্ত ১ম ভাগ ৯ম অধ্যায় দ্রষ্টব্য।