পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢रे শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ ५झ एठiः 8f थः না। কিন্তু সংকীৰ্ত্তনে সকলেই যোগদান করিতে পারে, এবং দেবতা লইয়া নগর পরিভ্রমণ পূৰ্ব্বক গান করাই সংকীৰ্ত্তন বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। জয়ন্তীয়ায় স্ত্রীলোকেরাও কীৰ্ত্তন করে। তাহারা মৃদঙ্গ করতালের পরিবর্তে করতালি দিয়া গান ধরে । জয়ন্তীয়ার স্ত্রী-সঙ্গীত অশ্লীলতা বর্জিত এবং তাহারাও ভাবভেদে ও লীলানুক্রমে গান করিয়া | থাকে,—এ রীতি তাহারা কদাপি ভঙ্গ করে না। জয়ন্তীয়ায় খাসিয়া রমণীগণ রাসগান করিয়া থাকে। মণিপুরী কুমারীরাও প্রশংসিতরূপে রাসগান করে। কিন্তু ইহাদের রাসের তুলনায় তাহা অতি তুচ্ছ। সংস্কৃত সাহিত্যে কিন্নর গীতিকার কথা শুনা যায়, ইহাদের সুকণ্ঠ নিঃস্থত সুললিত স্বরলহরী শুনিলে, ইহাই সেই কিন্নর-গীতি বলিয়। মনে হয়। পূৰ্ব্বকথিত কবি রামরায় ও মোহনরায় বিশেষ যত্নে ইহাদিগকে রাসগানের রীতি শিক্ষা দিয়াছিলেন। রাসগানে তাহাদেরই রচিত ভাৰরসাত্মক পদাবলী গীত হইয়া থাকে। জয়ন্তীয়ার বাঙ্গালী হিন্দুদের সামাজিক প্রথা অল্প ইতরবিশেষে অপরাপর স্থানেরই মত ; কিন্তু সামাজিক বিচারের প্রথা এখনও বলবত্তর রহিয়াছে। অপরাধীর প্রতি দুই প্রকার দণ্ড বিহিত হইয়া থাকে,— ,':', গলবস্ত্রে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও কীৰ্ত্তন দানে দোষ ক্ষালন করা। সামাজিক বিচার প্রথা ক্রমশঃ উঠিয়া যাইতেছে জয়ন্তীয়ার রাজাদের মধ্যে কোনরূপ বিবাহ প্রথা ছিল না, এই কারণেই রাজাদের মধ্যে পুত্রের সিংহাসনারোহণ করার প্রথা হয় নাই এবং এই জন্যই তথায় ভাগিনেয়গণই উত্তরাধিকার লাভ করে । * রাজাদের মধ্যে বিবাহ বিধি না থাকিলেও খাসিয়া প্রজাদের মধ্যে একরূপ বিবাহপ্রথা প্রচলিত আছে। বরকন্যার মনোমিলন হইলেই বিবাহ হইয়া গেল ; অভিভাবককে কিছুই করিতে হয় না। বরের পক্ষে কন্যাকে যথাসাধ্য বস্ত্ৰালঙ্কার দান এবং উভয় পক্ষের আত্মীয়স্বজনকে ভোজন করানই বিবাহের প্রধান অঙ্গ। বিবাহের পর বরকে শ্বশুর গৃহে থাকিতে হয়।

  • ইহা পাৰ্ব্বত্য খাসিয়া রীতি। যেখানে বিবাহবন্ধন শ্লথ সেই অনাৰ্য্য ভূভাগে এইরূপ রীতি প্রায়শঃ দৃষ্ট হয়।