পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিল্পোৎপন্ন দ্রব্য । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। • শ্ৰীহট্টের চাচ বা ধাড়া (দরমা ) প্রসিদ্ধ ; ইহা দূরবর্তী স্থানেও রপ্তানি হয়। করিমগঞ্জের অধীন লক্ষ্মীর-বাজার, সেওলা, পঞ্চখণ্ড, জফরগড়, এবং জলমুখ ও জগন্নাথপুর প্রভৃতি স্থানে চাচ প্রস্তুত হয়। বিগত ১৯০২–৩ খৃষ্টাব্দে শ্ৰীহট্ট হইতে ষ্টিমার যোগে ১৪০০০০ মন ওজনের চাচ ভিন্ন স্থানে রপ্তানি হইয়াছিল । & এতদ্ব্যতীত শ্ৰীহট্ট সদরের বেত্র নিৰ্ম্মিত পেটার, বাক্স, মুড়া এবং বাশের চেয়ার ও ইজিচেয়ার অতি প্রসিদ্ধ। বাক্স ও চেয়ার ইউরোপীয়ানগণের বিশেষ আদৃত। সদরের পক্ষীর পিঞ্জর বেশ সুন্দর ও সুলভ। বাশের টুকরি বা ধাম, ধান্য রক্ষার জন্য সুবৃহৎ টালি বা ‘আগুলি এবং চালনি প্রভৃতি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সৰ্ব্বত্রই প্রস্তুত হইয়া থাকে। এই শিল্পে শ্ৰীহট্টের কারিকরগণ বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করে। সদরের শেখঘাটস্থ ছাপরবন্দ পাড়ার কারিকরগণের প্রস্তুত বংশ-বেত্র নিৰ্ম্মিত এক ছোট গৃহ ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে ইংলণ্ডের প্রদর্শনীতে প্রেরিত হইয়াছিল। এই গৃহ বিশেষ প্রশংসিত ও পারিতোষিক প্রাপ্ত হয়। এই শিল্পের মধ্যে শ্ৰীহট্টের পাতার ছাতি অতি বিখ্যাত। ছাতাপাতি’ নামক একরূপ পত্রের দ্বারা ইহা প্রস্তুত করা হয়। বংশবেত্রের ফ্রেইমের ভিতরে "ছাতাপাতি রাখিয়া ছত্র প্রস্তুত করে। ইহার মূল্য সাধারণতঃ তিন আনা হইতে সাত আনা পৰ্য্যস্ত হয়। পূৰ্ব্বে বৃহদাকার বেহার ছাতি প্রস্তুত হইত ; বেহারাগণ সন্ত্রান্ত ব্যক্তির উপর তাহ ধারণ করিয়া যাইত ; এখন ইহার ব্যবহার উঠিয়া গিয়াছে বলিয়া প্রস্তুত হয় না । পাতার ছাতি রৌদ্র বৃষ্টি বারণ পক্ষে অতি উপযোগী। এই আবগুকীয় দ্রব্যটির ব্যবহার অনেকেই লজ্জাকর মনে করেন, কিন্তু গবর্ণমেণ্ট এই পাতার ছাতি ও বাশের মুড়ার মুখ্যাতি না করিয়া থাকিতে পারেন নাই।* পর্ণ ও তৃণ-শিল্প।

  • “The cane and bamboo furniture of Sylhet is cheap and of a good quality, a serviceable chair costing as little as As 6. Really cane baskets are also to be obtained in the bazar and the leaf umbrella of Sylhet are quite a speciality. They are made of what is known as ‘Chatapatti'