পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b* ঐহট্টের ইতিবৃত্ত l [ २ ७ांः &भ र्थः সেই প্রথম বারে গবর্ণমেণ্ট কুকিদিগকে বৃটিশাধিকৃত বাজারে আসিতে নিষেধ করা ব্যতীত আর কোনও প্রতিকার করিতে পারেন নাই। এই ঘটনার পর ১৮৪৩ খৃষ্টাব পর্যন্ত কুকিগণ কোনরূপ অত্যাচার করে নাই। ঐ সালের শেষভাগ হইতে ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত এনাও ( A. S. Annand ) সাহেব শ্রীহট্টের কালেক্টর ছিলেন। তাহার সময়ে দ্বিতীয় বার কুকির আক্রমণ হয়। বলা গিয়াছে, কুকিগণ নামতঃ ত্রিপুরেশ্বরের অধীন, সুতরাং ইহাদিগের অত্যাচার নিবারণ জন্য সময় সময় ত্রিপুরার সঙ্গেও গবর্ণমেণ্টকে বিবাদ লালচুক্লার করিতে হইয়াছিল। কুকিরাজ লালড়িহুয়ার পুত্র আক্রমণ । লালচুক্ল, পিতার মৃত দেহের সহিত লৌকিক প্রথা মত নরমুণ্ড দিতে ইচ্ছা করিয়া, ১৮৪৪ খৃষ্টাব্দের ১৬ই এপ্রিল প্রতাপগড় পরগণাস্থিত কচুবাড়ী আক্রমণ পূর্বক ২০টি নরমুণ্ড ও ৬টি স্ত্রীলোককে ধৃত করিয়া লইয়া যায়। লালচুক্ল ত্রিপুরেশ্বরের সামস্ত রাজা ছিল । এইজন্য এই অত্যাচারের প্রতিবিধানার্থে এনাও সাহেব গৰণমেণ্টের পক্ষে ত্রিপুরেশ্বরকে লিখিলে, লালচুক্লাকে স্তুত করিতে ত্রিপুরাপতি দশজন বরকন্দাজ পাঠাইয় দেন। এই অভিযান প্রহসনের সংবাদে কর্তৃপক্ষ হান্ত সম্বরণ করিতে পারেন নাই। গবর্ণমেণ্ট বিরক্ত হইয়া মহারাজকে লিখিলেন যে, আগামী ডিসেম্বর মাসের পূৰ্ব্বে অপরাধিকে বর্ণমেণ্টের হস্তে সমর্পণ না করিলে, বৃটিশ সৈন্ত অপরাধিকে ধৃত করিবার জন্য তাহার রাজ্যে প্রবিষ্ট হইতে বাধ্য হইবে। এই ঘটনার পর ত্রিপুরেশ্বর ২৭ জন সাক্ষর সহিত ৪ জন কুকিকে ঐহট্টে পাঠাইয়া দিলেন ; তাহার এনাও সাহেবের সন্নিধানে উপস্থিত। হইয়া প্রকাশ করে যে, এই বিবরণের किहूहे डांश्ॉब्रां छांटन न । दखङ: এই বিষয়ে ত্রিপুরেশ্বর সন্তোষজনক কিছুই করিতে পারেন নাই। কাজেই গৱৰ্ণমেণ্ট স্বয়ং ৰুণর্ব্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন ; কাপ্তেন রেকউণ্ড ত্রিপুর।