পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । { ২য় ভাঃ ৫ম খঃ نواهه উডডীন হয় । এই সময় খাসিয়া পাহাড়ের পলিটিকেল এজেণ্টের উপর ভারতের উত্তর-পূৰ্ব্বাংশের সমস্ত ভার ন্যস্ত হয়। হারি সাহেব পিতার জীবদ্দশায় ১৮৩৫–৫০ খষ্টাব্দ পর্যন্ত এই এজেণ্টের সহকারী স্বরূপে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। এই পদে থাকিয়াই তিনি জয়ন্তীয় দখল করেন, তৎপ্রসঙ্গ জয়ন্তীয়ার বিবরণে ইতিপূৰ্ব্বে [ ২য় ভাঃ ৪ৰ্থ খঃ ৪ৰ্থ অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে। হারি সাহেব কার্য্যোপলক্ষে অনেক খাসিয়া সর্দারের সহিত পরিচিত হওয়ায়, অতি শীঘ্রই কোম্পানীর বিশেষ শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করিতে সমর্থ হন। চুণের জয়ন্তীয় দখল করায় গবর্ণমেণ্টের নিকট হারি সাহেবের একচেটিয়। প্রতিপত্তি বৰ্দ্ধিত হয়। কর্ণেল লিষ্টার সাহেব নিজ দুহিতা সোফিয়াকে তাহার নিকট বিবাহ দেন। ফলে হারি সাহেব খাসিয়া ও জয়ন্তীয় পৰ্ব্বতের সমস্ত চুণা পাথরের মহাল ইজার বন্দোবস্তু লইয় চুণার একচেটিয়া ব্যবসায় আরম্ভ করেন। .প্রতি বৎসরে সমস্ত খনির কাজ চলিত না। জলের গতিক দৃষ্টে যে খনির পাথর নামান সুবিধা জনক বোধ করিতেন, সেই খনিতেই কাজ হইত। বৎসর ভর ডিনামাইট ও লৌহ-শাবলাঘাতে পাথর ভাঙ্গিয়া পাহাড়-ঘাটে মজুদ রাখা হইত, পূর্ণ বর্ষাতে পৰ্ব্বত হইতে মাপের “টকি, নৌকা” দ্বারা চুণা নামান যাইত, শরৎ কালে বন সংগৃহীত হইত, হেমন্তে চূৰ্ণ “পোক্তানি” ( পোড়া ) এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে চূৰ্ণ গোলাজাত করিয়া রাখা যাইত । মহালের খাজান, চূণ ভাঙ্গানি ও লামানি এবং আমলাদের বেতন ইত্যাদি সমস্ত খরচ ধরিয়া, পাথরের উপর হাজার করা যে দর নিদ্ধারিত হইত, তাহারই দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রয় করা যাইত। ইহাতে হারি সাহেবের সময়ে ২৫০,০০০২ টাক মূলধনে ২৫০,০০০ টাকাই লভ্য দাড়াইত । এরূপ আশ্চৰ্য্য লাভকর ব্যবসায়ের কথা অল্পই শুনা যায় । , 越 馨 বংসরের প্রথম ভাগে সরমানদীতে,-গোবিন্দগঞ্জ হইতে স্বনামগঞ্জ পৰ্য্যন্ত স্থান ব্যাপিয়, ব্যাপারগণ অবস্থিতি করিত এবং এক অবধারিত দিবসে গোয়ালপাড়া, পূৰ্ব্বে খাসিয়া পাহাড়, দক্ষিণে ময়মনসিংহ, পশ্চিমে গোয়ালপাড়া ও রংপুর। পরিধি ৩১৪• বর্গ মাইল, লোক সংখ্যা ১৩৮২৭৪ জন। প্রধান নগর—তুরা।