৪র্থ অধ্যায়। ] ইংলিস কোম্পানী । 劃 ፋ'$ কাহাকে কৰ্ম্ম দিয়া, কাহাকেও বা কোনরূপ স্থবিধা করিয়া দিয়া বশে রাখ} হইয়াছিল। ছাতকের চৌধুরীদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত মন্দ হইলেও তাহার। কোম্পানীর কোন কৰ্ম্ম স্বীকার করেন নাই। হারি সাহেব তাঁহাদের প্রধান ব্যক্তিকে বাটীতে বসিয়া বিনা কাজেই মাসিক দশ টাকা হিসাবে সম্মান জনক (Honarary) বৃত্তি ভোগের ব্যবস্থা করেন, এত করিলে লোক বাধ্য না হইয়া পারে কি ? এতদ্ব্যতীত শাহ আর পীনের দরগাতে বৃত্তি বরাদ্ধ ছিল, ছাতকের কালী বাড়ীতে এবং মহাপ্রভুর আগড়ায় বৃত্তি ব্যবস্থিত হইয়াছিল। কেবল তাহাই নহে, চাদ উঠাইয়া আমলা পটীতে শ্রীধর নামে দেবতা স্থাপিত করা হয় । সমারোহ সহকারে ঐ দেবতার রথ ও দোল ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হইত। হারি সাহেবের চেরাপুঞ্জিস্থিত খাস কুঠির হাতাতে রথোৎসব হইত, ঠাকুরকে হস্তীর উপর উঠাইয়া ছাতক হইতে তথায় নেওয়া যাইত ; অনেক খাসিয়া এই উৎসবে যোগ দিত ; ইহাতে তাহাদের মধ্যেও কিয়ৎপরিমাণে হিন্দুয়ানীর প্রচার হইত। এই সকল কারণে কোম্পানীর প্রতি সাধারণের বিশেষ অনুরাগ ছিল ; এই সকলই কোম্পানীর ব্যবসায়ের স্ববিধ বিধানের পক্ষে উপায় স্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছিল। চেরাপুঞ্জির প্রধান এসিষ্টেণ্ট কমিশনার হডসন সাহেবের নিকট কোম্পানীর ব্যবহার ভাল লাগিত না। ইংলিস কোম্পানীর পক্ষ হইতে যে কোন কোম্পানীর মোকদম উপস্থিত করা হইত, ইনি তাহা বিরাগ লাভ । ডিসমিস করিয়া ফেলিতেন। ইহাতে কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণ নিতান্তই উত্যক্ত ও অসুবিধা গ্রস্ত হইয়া উঠিয়াছিল । হড়সন সাহেবের আগমনের দুই বৎসর পরে ঢাকা রেভিনিউ বোর্ডের সদস্য এলেন (W. J. Allen ) সাহেব খাসিয়া পৰ্ব্বত সম্বন্ধে অনুসন্ধানের জন্য প্রেরিত হইয়। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে এক রিপোর্ট প্রেরণ করেন, তাহ সাধারণতঃ “এলেনস রিপোর্ট” বলিয়া খ্যাত। এই রিপোর্টে উপরি উক্ত বিবরণ এবং তাদৃশ বহু কথা বর্ণিত হইয়াছে। ইতঃপূৰ্ব্বে চেরা হইতে প্রায় শত মাইল দূরস্থ গৌহাটীতে আসামের ~പൂ , ', * " - \ - .' ' , یہ A-u H , 町 r" a
