পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as শ্ৰীহটের ইতিবৃত্ত । ! २ग्न डां: દત્ત ન কমিশনারের কোর্টে চেরাপুঞ্জির সকল মোকদ্দমারই আপিল যাইত; এলেন সাহেবের মতানুসারে এই সত্য় হইতে শ্ৰীহট্টের সিভিল ও সেশন জজের আদালতে চেরাপুঞ্জির আপিল হইবে বলিয়া স্থির হয়। কেবল পুলিশ সংক্রান্ত ও পলিটিকেল মোকদমা এজেন্ট ও আসামের কমিশনারের নিকট পূৰ্ব্ববং হইত। এলেন সাহেব যে রিপোর্ট করেন, তাঙ্গই পরে ইংলিস কোম্পানীর এক চেটিয়া ব্যবসায় ভাঙ্গিয়া যাইবার কারণ স্বরূপ হইয়াছিল। হারিসাহেবও এলেন ও হডসনের ব্যবহারে বিরক্ত ছিলেন। হডসনের কথা আমলারা প্রায়শই তাহার নিকট বলিত। একদা তিনি নিজ দেওয়ান ব্ৰজমোহন রায়কে বলেন —“রও, ইহণকে আমি ঘরের বিল্লি (বিড়াল ) বানাইব ।” এই ব্রজমোহন রায়ের বেতন ১২ টাকা হইতে ২০০ টাকাতে উন্নীত হইয়াছিল। বেতন ব্যতীত কৰ্ম্মচারিগণ কোম্পানীর লভোর উপর হার মতে আমলাদের কমিশন পাইতেন। দেওয়ানের পদে বেতন বাদে লভ্য। কমিশন বাবতে বংসরে দুই সহস্ৰ হইতে পঞ্চ সহস্র টাকা পৰ্য্যন্ত পাওয়া যাইত। দেওয়ান হইতে সামান্য চৌকিদারকে পর্য্যন্ত কমিশন দেওয়ার রীতি ছিল.। ইহাতে সকলেই সন্তুষ্ট ছিল, বংসরের শেষে সকলেই এক সঙ্গে কতক টাকা পাইতে পারিত। কমলা লেবুর অস্থায়ী বিভাগে কেম্পানীর ত্ব অংশ ও অপর লোকের ঐ অংশ থাকিলেও আমলারা পুরা লাভের উপরই কমিশন পাইতেন। দেওয়ান খাজাঞ্চি, সেরেস্তাদার, ডিহিমোহরের, মোহাফেজ, বরকন্দাজ, চৌকিদার ইত্যাদি স্থায়ী কৰ্ম্মচারী সংখ্যা অনেক ছিল। কমলা বিভাগে সাময়িক অনেক কৰ্ম্মচারী নিয়োজিত হইত। কৰ্ম্মচারীগণের বিশেষ বিদায় কালের বেতন কর্তিত হইত না, এবং বিদায়ের মধ্যে কাহাকেও ডাকাইয়া কাজে হাজির করিলে পথ খরচ দেওয়া যাইত। কৰ্ম্মপ্রার্থিগণ কৰ্ম্ম না পাইয়া ফিরিয়া গেলেও যাতায়াত খরচ দেওয়া হইত। ইহা হারি সাহেবের বিশেষ উদারতার পরিচায়ক।