পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৬৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8र्थ अ५Tांप्र] ইংলিস কোম্পানী । ማo হারি সাহেব অনেক দিন এদেশে থাকিয়া, এ দেশীয় আচার ব্যবহারের অনেকটা পক্ষপাতী হই উঠিয়াছিলেন। তিনি গুড়গুড়ি হুকাতে তাম্রকুট সেবন করিতেন। তাহার সদ্ব্যবহার ও সৌভাগ্য প্রভৃতি নানা কারণে সাধারণে র্তাহাকে মহাপুরুষ বলিয়। মনে করিত। হারি সাহেব সম্বন্ধে নানা গুল্প শুনা গিয়া থাকে। * 更 পত্নীর আগ্রহে বৃদ্ধ বয়সে হারি সাহেব বিলাত যাইতে প্রস্তুত হন। এই সময় তিনি আপন বিরুদ্ধাচারী হডসন সাহেবকে মেনেজার নিযুক্ত করিতে মেনেজার নিযুক্তি ইচ্ছা করেন। প্রস্তাব চলিল, কিন্তু হডসন হারি সাহেবের মৃত্যু । কোম্পানীর "বিল্লি” হইতে স্বীকার পাইলেন না। হারি সাহেব মাসিক সহস্র টাকা দিবেন বলিয়া প্রতিশ্রত হইলেন, তেজস্বী হডসন তথাপি অস্বীকৃত হইলেন। তাহার পরে হারি সাহেব, বেতন বাদে এস্থলে একটা আশ্চর্ঘ্য ঘটনার উল্লেখ করা যাইতেছে। একদা এক প্রৌঢ় বয়স্ক ব্রাহ্মণ চেরাপুঞ্জিতে গিয়া দরবারে উপবিষ্ট হারি সাহেবের পদে পতিত হইয়া ক্ষম চাইতে থাকেন ও ভাই ভাই বলিয়া কাদিয়া আকুল হন। কারণ জিজ্ঞাসায় ব্রাহ্মণ বলেন যে, শ্ৰীক্ষেত্রে গিয়া তিনি দেবতার দর্শন পান নাই। প্রত্যাদেশে জানিয়াছেন, পূৰ্ব্বজন্মে হারি সাহেব তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন, তাহার নিকট তিনি গুরুতর দোষে অপরাধী। যদি তাঁহার প্রসাদ ভক্ষণে ও ক্ষমা প্রাপ্তে অপরাধ মোচিত না হয়, তবে দর্শন পাইবেন না, এবং অপরাধের জন্যও অনেক ভুগিতে হইবে। প্রত্যাদেশ প্রাপ্তির পর ব্রাহ্মণ বহু অনুসন্ধানে এখানে আসিয়াছেন । হারি সাহেব ব্রাহ্মণের কথা শুনিলেন এবং জুয়াচোর মনে করিয়া তাঁহাকে কয়েদ করিয়া মাখিলেন। পরে আমলাদের পরামর্শে শ্ৰীক্ষেত্রে পুলিশ কৰ্ম্মচারীকে এই বিষয় অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ করিলেন । তত্ৰত পুলিশ কৰ্ম্মচারীরা তিনমাস অনুসন্ধান করিয়া পরে যখন ইহা সত্য বলিয়াই লিখিলেন, তখন হারি সাহেবের আর বিস্ময়ের অবধি থাকিল না। কিন্তু ব্ৰাহ্মণ কিরূপে স্নেচ্ছের প্রসাদ খাইবেন । পণ্ডিতগণের ব্যবস্থায় তখন এক পাত্রে কিছু মিছরি রক্ষিত হয়, এবং তাহা হইতে সাহেব একটু গ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণ সেই মিছরি প্রসাদ ভক্ষণে ও ক্ষমা প্রাপ্তে পুনঃ শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করেন । হারি সাহেব ব্রাহ্মণকে এক জোড়া কাপড় এবং শ্ৰীক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ দিয়া বিদায় দেন।